রুমা পাল, সন্দীপ সমাদ্দার, কলকাতা: এনুমারেশন ফর্ম প্রক্রিয়ায় বিশেষ স্বীকৃতি। রানাঘাট উত্তর-পূর্বের BLO ওয়াহিদ আকরম মণ্ডলকে ১০০ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশনের জন্য় স্বীকৃতি দিল CEO-র দফতর। অন্যদিকে, ১৫ দিনের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন নজির গড়েছেন পুরুলিয়ার এক BLO-ও। 

Continues below advertisement

রাজ্য়জুড়ে SIR-এর চাপে পরপর BLO-র মৃত্য়ুর অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক চলছেই। অনেক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন BLO-রা। এর মধ্য়েই এবার এক BLO-কে স্বীকৃতি দিল CEO-র দফতর। এক্স হ্যান্ডলে এই ভিডিও পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গের m-র তরফে লেখা হয়েছে, নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের BLO ওয়াহিদ আকরম মণ্ডলকে ১০০% এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের জন্য় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। নদিয়ার সেই BLO, ওয়াহিদ আকরাম মণ্ডল বলছেন, 'আমাদের ১০০টা করে ফর্ম দেওয়া হয়। আমি কাজ ফেলে রাখতাম না। প্রথমে ২ দিন আমাকে ১০০, ১০০টা দেওয়া হয়েছে। আমি ২ দিনে ২০০টা দিয়ে ফেলেছিলাম। করে ফেলেছিলাম। মাঝে মাঝে অ্য়াপের খুব অসুবিধা হত। কিছু কিছু সময় খুব ভাল কাজ করত। আমি চাতক পাখির মত লক্ষ্য় করে থাকতাম।'

নজির গড়েছেন পুরুলিয়ার এক BLO-ও। বৃষকেতু কুইরি বাঘমুণ্ডি ব্লকের গাগী গ্রামের ১ নম্বর বুথের BLO। তাঁর দাবি, ১৫ দিনের মধ্য়ে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন করেছেন তিনি। বাঘমুণ্ডির গাগী গ্রামের ১ নম্বর বুথের BLO বৃষকেতু কুইরী বলছেন, 'আমি ঘরে ঘরে গেছি। আমি ফর্ম নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে সাহায্য় করতে। গ্রামবাসীরা দ্রুত কাজ করতে পেরেছে।' এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। শতাংশের নিরিখে ফর্ম বিলি হয়েছে ৯৯ দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ। অন্য়দিকে এখনও পর্যন্ত ফর্ম ডিজিটাইসড হয়েছে ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ। শতাংশের নিরিখে যা ৪৯ দশমিক দুই ছয় শতাংশ।

Continues below advertisement

ব্যক্তি এক, ভোটার বহু জায়গার। কখনও হাওড়া, কখনও বাঁকুড়া, কখনও বা দক্ষিণ ২৪ পরগনা...কখনও আবার বর্ধমান। সব মিলিয়ে মোট ৪০ জায়গায় ভোটার মায়ারানী! শুধু বদলে গেছে পদবী। সঙ্গে বদলে গেছে স্বামীর পদবীও। আসলে তিনি মায়ারানী গোস্বামী। পাণ্ডবেশ্বর ADVC পাড়ার ৪৭ নম্বর বুথের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিউআর কোড স্ক্যান করতেই চক্ষু চড়কগাছ বিএলও-র। মোট ৪০ টি জায়গায় ভোটার লিস্টে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাম রয়েছে। তবে পদবী আলাদা আলাদা। পাণ্ডবেশ্বরের বাসিন্দা মায়ারানি গোস্বামী বলছেন, 'কোথাও নেই। বৈদ্যনাথপুর আর এই হাইস্কুল। দেখ ভোটার কার্ডেই তো আছে আমার। আমায় কালকে বলল। কাল যখন লোক এসেছে তখন আমি জানলাম।'