গুয়াহাটি: প্রথম ম্য়াচে কলকাতায় একপেশে লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ রানে লজ্জার হার হারতে হয়েছিল ভারতকে। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেও চালকের আসনে প্রোটিয়া শিবির। প্রথম ইনিংসে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮৯ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে গুয়াহাটি টেস্টও কিন্তু ভারতের জন্য বেশ শক্ত গাঁট হতে চলেছে।
তবে শেষবার কবে চারশো বা তার বেশি রান প্রথম ইনিংসে হজম করার পর সেই ম্য়াচে ভারত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল? ২০১৬ সালে এমনটা হয়েছিল। সেবার চেন্নাইয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চারশো বা তার বেশি রান বোর্ড তুলেছিল ইংল্যান্ড শিবির। সেই ম্য়াচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত।
সেই ম্য়াচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্য়ান্ড বোর্ডে তুলেছিল ৪৭৭। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৫৯ রান বোর্ডে তুলতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারতীয় শিবির। করুণ নায়ার অপরাজিত ৩০৩ রান করেন। ইংল্য়ান্ড ২০৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারত ম্য়াচ জেতে ইনিংস ও ৭৫ রানে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবীন্দ্র জাডেজা প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট নেন।
ওয়ান ডে সিরিজে বিশ্রামে গিল
শুভমন গিলের দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ়ে খেলা নিয়েও প্রবল সংশয় ছিল। শেষমেশ তাঁকে ছাড়াই তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ়ের দল ঘোষণা করল ভারত। সিরিজ়ে জন্য বিশ্রাম দেওয়া হল যশপ্রীত বুমরাকে। গিলের অনুপস্থিতিতে কার কাঁধে নেতৃত্বের দায়ভার দেওয়া হল? শুভমনের অনুপস্থিতিতে টেস্টে ঋষভ পন্থ অধিনায়কত্ব করছেন। ওয়ান ডেতেও তিনি কামব্যাক ঘটালেন। তবে ভারতের হয়ে ওয়ান ডেতে আপাতত পন্থের আগে কেএল রাহুলই প্রথম পছন্দের কিপার-ব্যাটার। তাঁকেই তাই ফের একবার জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হল।
কে এল রাহুলের সঙ্গে এই লড়াইয়ে ছিলেন ঋষভ পন্থ। তিনি এই মুহূর্তে টেস্ট স্কোয়াডে নেতৃত্বভার সামলাচ্ছেন গুয়াহাটিতে। কিন্তু অভিজ্ঞতার জন্যই হয়ত রাহুলকে অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া ধ্রুব জুড়েলকেও খেলানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওয়ান ডে সিরিজে রাহুল যদি উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে খেলেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু ধ্রুবও একাদশে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারেন। পন্থকে তাহলে প্রথম একাদশে নাও দেখা যেতে পারে।