শিলিগুড়িঃ প্রবল বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি ভোট গণনায় (Siliguri Mahakuma Parishad Result out ) পড়ল প্রভাব। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এদিন প্রথমে ভোট গণনা দেরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। উল্লেখ্য, আজ জিটিএ (GTA) ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের ফলপ্রকাশ ( Siliguri Mahakuma Parishad)। যদিও হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পূর্বাভাস মিলে গিয়েছে। একটানা ভারী বর্ষণের জেরে শিলিগুড়ি মহারুমা পারিষদ জুড়ে জল জমে গিয়েছে। যার জেরে গণনা প্রভাব পড়তে পারে।

  


আরও পড়ুন,  


উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জের, কার্যত স্তব্ধ বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিষেবা


সোমবার রাত থেকেই ভারীবৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তবঙ্গের একাধিক শহর (Rain Water logged in North Bengal)। শিলিগুড়িতে রাতভর বৃষ্টি জেরবার এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই কাউন্টিং রুমে এজেন্টদের ঢুকতে একটু দেরি হয়।এদিকে বৃষ্টির মাঝেই গণনা পর্ব ঘিরে প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা তুঙ্গে। এক দশক পর গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা GTA-র ভোট হয়েছে পাহাড়ে। আজ বুধবার ফলপ্রকাশ হবে এখানে। সেই সঙ্গে প্রকাশিত হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের ফল। তবে শুধু এখানেই নয়, রাজ্যের আরও ৫ পুরসভাতেও বুধবারই ফল ঘোষণা হবে। পাহাড় থেকে উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে শিলিগুড়ি, গণনাপর্ব ঘিরে সর্বত্র সেরে ফেলা হয়েছে প্রস্তুতি। GTA-র ৪৫টি আসনের ভোটগণনা দার্জিলিং, কার্শিয়ং ও কালিম্পংয়ে। ১ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর আসনের ভোট গণনা কেন্দ্র দার্জিলিং। ১৮ নম্বর থেকে থেকে ৩২ নম্বর আসনের ভোট গণনা কার্শিয়ংয়ে। আর ৩৩ নম্বর থেকে ৪৫ নম্বর আসনের ভোটগণনা কালিম্পং জেলায়।  ৩ টি কেন্দ্রে ৪৫টি আসনের ভোট গণনা। পর্যাপ্ত পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে স্ট্রংরুম।  


অপরদিকে, ভারী বৃষ্টিতে কোচবিহারেও জমেছে জল। বেহাল নিকাশির জন্যই প্রতিবার বর্ষায় জলে ভাসে কোচবিহার শহর, দাবি বিজেপির (BJP)। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকেছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসী। প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমলেও, খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাচ্ছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল (TMC) পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার (Cooch Behar Municipality)।প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরে একের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির জল বেড়ে হড়কা বান হোক, কিংবা 'ম্যান মেড বন্যা'-র মতো বিতর্কিত ইস্যু, সবেতেই ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই এবার আর ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন।