কলকাতা: নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের (Physically Injured) পরিবারের সদস্যদেরও চাকরির আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। আগামীকাল ফের কটক ও ভুবনেশ্বর যাওয়ার কথা তাঁর। তার আগে জানিয়ে গেলেন, আহত ও কম আহতদেরও আর্থিক ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেওয়া হবে।
আর কী বললেন?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এদিন বাংলার ৯০ জনের দেহ শনাক্ত হয়েছে।' নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তাঁদের পরিবারের এক জনকে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "৯০ জনের দেহ শনাক্ত কারা গিয়েছে। বাকি দেহ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আমরা ঠিক করেছি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। আর হোমগার্ডের চাকরি দেব। যাঁরা আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তুলনায় বেশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা দেব। তুলনায় কম আহতদের ২৫ হাজার দেব। যাঁরা ট্রমায় ভুগছেন তাঁদের প্রথমে এককালীন ১০ হাজার টাকা দেব। তারপর চার মাস পরিবার প্রতি ২ হাজার টাকা পাবে। পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল সহ দেওয়া হবে। অনেকে হাত- পা বাদ গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়। সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে। তাঁদের পরিবারের কাউকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।''
বাহানাগার পরিস্থিতি...
এদিকে মৃত্যু, শোক, আতঙ্ক, হাহাকার পেরিয়ে, ৫১ ঘণ্টা পর বাহানাগায় ফের গড়াল ট্রেনের চাকা। তবে শুক্রবার সন্ধের দগদগে স্মৃতি এখনও টাটকা! এখনও কতজনের অশনাক্ত দেহ পড়ে আছে মর্গে!হাসপাতালে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কত যাত্রী!এসবের মধ্য়েই বাহানাগা বাজার স্টেশনে শোনা গেল ট্রেনের আওয়াজ। ভাঙা কামরার কঙ্কালের পাশ দিয়েই ছুটল ট্রেন। রবিবার রাতেই বাহানাগার ওই লাইন দিয়ে পাস করে ডাউন ভুবনেশ্বর-নিউ দিল্লি সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। সোমবার ভোরে আপের লাইনে প্রথম হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসকে পাস করানো হয়। ট্রেনের গতি ছিল ১০কিলোমিটার/ঘণ্টা। যাত্রীদের আতঙ্ক কাটাতে, রেললাইনের পাশে রাখা ভাঙা কামরাগুলিকে সবুজ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল ঠিকই। কিন্তু, এখনও একটা উত্তর মেলেনি কার ভুল, কার গাফিলতির মাশুল গুণলেন এত মানুষ! কীভাবে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা? সোমবার রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি অ্যাক্সিডেন্ট ডায়াগ্রাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদিনই, ঘটনাস্থলে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। ট্রেন চলাচল মোটের উপর স্বাভাবিক হলেও, এদিনও বেশকিছু ট্রেন বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন:কোথা থেকে শুরু বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন? কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?