কলকাতা: আজ আদালতে তোলা হবে শাহিদ ইমামকে (Shahid Imam)। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। খবর CBI সূত্রে। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় এতদিন ধরে সিবিআই যতজনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে শাহিদ ইমামই (Shahid Imam) কি সাক্ষী হিসেবে প্রথমবার গোপন জবানবন্দি দিতে চলেছেন?CBI-এর কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম? দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা? গত শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের CBI হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি? কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন উঠছে, CBI কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি CBI?
আজ আদালতে তোলা হবে শাহিদ ইমামকে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। খবর CBI সূত্রে। দাদা শাহিদের মতো CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ভাই শেখ আলি ইমামও। তিনি প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে সূত্রের খবর।
কে এই শাহিদ? এতদিন রঙিন পর্দার নানা রঙিন চরিত্রে যাঁকে দেখা গেছে সেই শাহিদ ইমামই এখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছেন! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন ধরে সিবিআই যতজনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে শাহিদ ইমামই কি সাক্ষী হিসেবে প্রথমবার গোপন জবানবন্দি দিতে চলেছেন? CBI-এর কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম?
দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা? সেই জল্পনা জোরদার হয়েছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অভিযুক্তদের শুনানির সময়, সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তদন্তকারী অফিসারের কাছে তিনি জানতে চান,
১৬৪ নম্বর ধারায়, এতদিনে কেন একজনেরও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? এরপরই শুক্রবার চন্দন মণ্ডল-সহ ৬ এজেন্টকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে আছেন শাহিদের ভাই শেখ আলি ইমামও। এদিন হুগলির আরামবাগের তালপুকুরে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছেছিল এবিপি আনন্দ। যদিও বাড়িতে কারও দেখা মেলেনি।
এদিকে, শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের CBI হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই।
২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশের পরে, শাহিদের একটি মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
প্রশ্ন উঠছে,CBI কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি CBI? সোমবার ফের শাহিদ ইমামকে আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হবে। চলচ্চিত্র জগতে শুভম ইমাম নামে পরিচিত, CBI-এর হাতে ধরা পড়া শাহিদ।
একাধিক সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত তিনি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিনোদন জগতেও কি ঢালা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা? শাহিদ সাক্ষী হলে কি না জানা অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে?