রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, জলপাইগুড়ি: জম্মু-কাশ্মীরে টানেল ধসে মৃত্যু হয়েছিল ধুপগুড়ির পাঁচজন তরতাজা যুবকের। মঙ্গলবার সকালে সড়কপথে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের মাগুরমারি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবান পাড়ায় এসে পৌঁছেছে মৃত শ্রমিক যাদব রায় ও গৌতম রায়ের নিথর দেহ, দেহ গ্রামে এসে পৌঁছাতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজনকে গ্রামবাসীরা, শেষবারের মতো নিজের গ্রামের ছেলেকে দেখতে ভিড় জমিয়েছে প্রচুর মানুষ, পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসীরা চাইছে সরকার যাতে পরিবারগুলোর পাশে থাকে। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি করছেন সকলে, কান্নায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পারিবারের কয়েকজন।
ঠিক কীভাবে ধসের কবলে পড়লেন নিহতরা
গত ৩ মে কাজ পেয়ে জম্মু রওনা হন মৃত ৫ শ্রমিক। এ দিন তাঁদের মধ্যে এক জনের মধ্যে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পশ্চিম মল্লিকপাড়া গ্রামের যাদব রায়ের বাড়িতে এ দিন যান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া, ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিত লামা ও থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাঁচ জনের সঙ্গে আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি যান এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সুপার বলেন, ''দুর্ঘটনায় ধূপগুড়ি ব্লকের এক জন মারা গিয়েছেন। আরও চার জনের আটকে পড়ার খবর পেয়েছি। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।''
পরেশ কন্যার বেতন বন্ধ
হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশের পরেই পরেশ-কন্যার বেতন বন্ধ। এই মাস থেকেই অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) বেতন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, আজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং তাঁকে কত টাকা ফেরত দিতে হবে- এই সংক্রান্ত নির্দেশ তাঁরা এখনও হাতে পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। আপাতত বেতন বন্ধের নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা।