কলকাতা: রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। উত্যক্ত করে এমন কয়েকজন নেতা গিয়ে ওঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। উনি শিক্ষিত মানুষ, যেন প্রভাবিত না হন, প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের। 


ফিরতে চলেছে 'ধনকড় জমানা'? রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তৃণমূলের বর্তমান সংঘাতের আবহে ফের একবার এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। কারণ, রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে, রাজ্য সরকারের সম্পর্ক অন্য খাতে বইতে শুরু করে। কিন্তু, তাতে কিছুটা তাল কাটে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


তারপরই, নতুন রাজ্যপালের আমলে প্রথমবার কড়াবার্তা দিয়ে বিবৃতি জারি করে রাজভবন।এরপর নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে, ঘোরাল হয় সংঘাতের পরিবেশ!


আর, এবার কার্যত সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হল দু-পক্ষ। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা। ৩৫৬ ধারা নিয়ে দ্বিধায় বিজেপি? গদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। এবার সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সম্পর্ক এবার কোন খাতে বয়, সেদিকেই নজর সকলের।


স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু: অন্যদিকে, কোচবিহারের বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা ঘিরে অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছেসাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় ৪৮ জন বিজেপি নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, বিজেপির জেলা সহ-সভানেত্রী দীপা চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণ, দিনহাটার বিজেপি নেতা অজয় রায়, জয়দীপ ঘোষদের। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় ২১ জন বিজেপি নেতা, কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ যে দলদাসে পরিণত হয়েছে, আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মামলা তার প্রমাণ, কটাক্ষ বিজেপির জেলা সভাপতি ও কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায়ের।  পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ, আমবাড়ির প্রসঙ্গ টেনে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। 


সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট: বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলাকাণ্ডে সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির জেলা সভাপতিকে গন্ডগোলের জন্য দায়ী করলেন উদয়ন গুহ। ভিডিও পোস্ট করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের দাবি, বিজেপির জেলা সভাপতি ও কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার রায়-ই ওইদিন মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। আক্রান্ত কর্মীদের সাহায্য করেছি, পাল্টা দাবি বিজেপি জেলা সভাপতির।