কলকাতা: ভুয়ে নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরি করতে এসে হাতেনাতে ধৃত চাকরি প্রতারণা চক্রের অন্যতম মূল পাণ্ডা। সটলেকের বিদ্যুৎ ভবন থেকে সৌরভ রায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২রা মে বিদ্যুৎ ভবনের জেনারেল ম্যানেজার অভিযোগ করেন, বেশ কিছু ব্যক্তি বিদ্যুৎ ভবনের বিভিন্ন পদের চাকরির জন্য ভুয়ো অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার নিয়ে আসছেন। বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর গতকাল আরও এক ব্যক্তি ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে যান। তখনই বিদ্যুৎ ভবনের পক্ষ থেকে বিধান নগর পূর্ব থানাকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে জানা যায়, ধৃত ব্যক্তিই প্রতারণা চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মিলেছে আর্থিক লেননেদের প্রমাণ।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ: কিছুদিন আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরে। ঘটনায় জেলা পরিষদের মৎস কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরাকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, তমলুকের এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন সোমনাথ বেরা। সেই নিয়ে তমলুক আদালতে মামলা করেন অভিযোগকারী। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার। এদিকে, সোমনাথ বেরাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রর অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান সোমনাথ বেরার অনুগামীরা।
বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে প্রতারণা: শুধু চাকরির নামেই প্রতারণা নয়, প্রতারণার জাল আরও দূরে বিস্তৃত। কিছুদিন আগেই আচমকা অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছিল হাজার হাজার টাকা! বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আধার নম্বর, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে প্রতারণার অভিযোগ। কীভাবে ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা? কীভাবেই বা এর হাত থেকে বাঁচবেন? বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
অজানা কোনও লিঙ্কে ক্লিক নয়, ওটিপি শেয়ারও করেননি। এমন নয়, যে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলেছেন! কিন্তু, হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ এল- আপনার অ্য়াকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। ভাবছেন, এ কীভাবে সম্ভব? কিন্তু, এই প্রতারণারই খপ্পরে পড়ছেন কলকাতা বন্দর এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ -সহ বহু জেলার বাসিন্দা।
নেপথ্য়ে, আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে এটিএমের সংখ্য়া কম, সেখানে এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্কিং-এর কাজকর্ম করে থাকেন গ্রাহকেরা। আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম বা (AEPS) হল, যেখানে ব্য়াঙ্কের একজন গ্রাহক তাঁর আধার পরিচয় ব্যবহার করে ব্যালান্স যাচাই, টাকা তোলা, টাকা পাঠাতে পারেন। বনগাঁর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সন্তুকুমার দে।
তাঁর দাবি, জমি বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় নথির পাশাপাশি আধার কার্ড নম্বর ও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড করেছিলেন। তাতেই বিপত্তি! কিন্তু, কিভাবে এই প্রতারণাচক্র চলে? সফ্ট টার্গেটই বা কারা? এই ধরনের ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্য়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন, বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।