রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সংশোধনারে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত বন্দির মৃত্যু সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Super Speciality Hospital)। আঙ্গুল উঠছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দিকে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত এক বন্দর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ব্যাক্তির নাম জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু (Death) হয়েছে।
এদিকে মৃত বন্দির পরিবারের অভিযোগ গত ১৪ তারিখ জাকিরকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর কোনটাই সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে জানান হয়নি পরিবারকে। আজ পরিবার সংশোধনাগারে ফোন করলে তখন বলা হয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তারা জানতে পেরেছেন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সংশোধনাগারের ভেতরে এতো ঘুমের ওষুধ কোথায় পেল জাকির তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে, তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে জাকির হোসেনের পরিবার।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ছোটো কুচলিতে বাড়ি জাকির হোসেনের। গত ২০২০ সালের অক্টবর মাসে পক্সো মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে জাকিরকে। এর পরে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেখলিগঞ্জ সেশন কোর্ট জাকিরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা শোনায়। এর পর থেকেই জাকির জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন।
চলতি মাসের ৬ তারিখ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। সমস্ত কথা হয়েছে ও ভালই ছিল, আজ সকালে আবারও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আবেদন করলে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়নি, এর পরে বিকেল নাগাদ সংসোশনাগারে ফোন করলে বলা হয় জাকির অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পাওয়ায় পরেই বাবা, মা, বোন বিকেলে হাসপাতালে আসেন তখনই হাসপাতাল থেকে মৃত্যু সংবাদ পান তাঁরা, শুধু তাই নয় অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও পরিবারকে কেন জানানো হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাকিরের পরিবার।
আরও পড়ুন: 'চোর ধরো, জেলে ভরো', বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দিলীপ-সুকান্তরা
এদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার জানিয়েছেন তিনি ছুটিতে আছেন, তবে ঘটনার কথা শুনেছেন, কাজে যোগ দিয়ে দফতরের নিয়ম অনুসারে তদন্ত করা হবে।