কলকাতাঃ 'চোর ধরো, জেলে ভরো', দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে আজ রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ (BJP Agitation) কর্মসূচিতে রাজপথে দিলীপ-সুকান্তরা (Dilip Ghosh and Sukanta Majumdar)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়গপুর সদরে বিশাল বড় ব্যানার হাতে মিছিল করে এগিয়ে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। ব্যানারে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। আর সঙ্গে লেখা, 'চোরদের জেলে ভরো, মমতা গদি ছাড়ো।' আর এই হ্যাসট্যাগেই সোশ্যাল পোস্টে ছড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ-সুকান্তরা।


এদিন ফেসবুকে পোস্ট করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'রাজ্যের যুব সমাজের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার প্রতিবাদে এবং সকল চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলাম।' পাশাপাশি সোশ্যাল পোস্টে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন,'রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের লাগামহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে খড়গপুর রাম মন্দির থেকে এসডিও অফিস পর্যন্ত চোর ধরো, জেলে ভরো কর্মসূচি'তে তিনি অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি কার্যকর্তাদের পাশাপাশি আজ বহু সাধারণ মানুষ সামিল হয়েছিলেন। তাঁদেরও একটাই দাবি তৃণমূলের সকল দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের শাস্তি চাই।'


মূলত রাজ্যে এযাবৎকালে একাধিক মামলার মধ্যে শিরোনামে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। আর এই মামলার নাম ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই যাদের নামটা পর পর উঠে আসে, তারা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, অঙ্কিতা অধিকারী, ববিতা সরকার এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তচলাকালীনই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একাধিকবার তলব করা হয়েছে পরেশ অধিকারীকে। ববিতা সরকার শেষ অবধি পেয়েছেন বিচার। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারে 'সাহসী' পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ


তবে বহুদিন ধরে চলে আসা এই মামলা বেগ পেতে অনেকটাই দেরি হয়েছিল। তবে আচমকাই প্রেক্ষাপট বদলায়। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে বিপুল টাকা, সোনা, দলিল উদ্ধার হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। তারপর পার্থ বলেন, 'আমার টাকা নয়,আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।' এদিকে এত বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পর রাতারাতি দল-মন্ত্রিত্ব থেকে বের করে দেওয়া হয় পার্থকে। 'দোষী প্রমাণিত হলে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক', ইতিমধ্যেই নাম না করে বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ-সুজনরা মুখ খুলতে বলেছেন পার্থকে। যদিও এতকাণ্ডের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখে খুলে বলেছেন, 'দিদির সিদ্ধান্ত ঠিক।' তবে বাইশের বাইশগজে এবার ঘটবে কী ? গুঞ্জন রাজ্য-রাজনীতিতে।