কলকাতা: শহরে (Kolkata) ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ল। ব্রিটেন ফেরত ২ যাত্রী ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের খবর মিলেছে। ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি এবং এক শিশুর শরীরে ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ২ জনই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। শিশুদের জন্য ৪৩৫ টি আইসিইউ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সিসিইউ বেড তৈরি হবে। ১২ কোটি ৭১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু স্বাস্থ্য দফতরের।
বাড়ছে করোনা। এই অবস্থায়, আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক কেন্দ্র। দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার থেকে কলকাতায় নামবে না ব্রিটেনের কোনও বিমান। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার।
দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা। ৩৩ দিন পর, বৃহস্পতিবার ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। দেশের ২২টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৯৬১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন, এখন গোটা বিশ্বের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ফ্রান্সে শুরু হয়েছে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ। ব্রিটেনে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন দু’লক্ষের কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিমান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই, রাজ্য সরকারের তরফে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, আপাতত ব্রিটেনের উড়ান কলকাতায় নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ৩ জানুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চালু হবে। এছাড়া, অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিজের খরচে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। তবেই, কলকাতায় প্রবেশ করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১০ শতাংশের RT-PCR টেস্ট করা হবে। বাকিদের করা হবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। সেখানে, পিজিটিভ এলে তখন করা হবে RT-PCR পরীক্ষা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা শাসকদের দেওয়া স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে এলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোভিড নেগেটিভ হলেও, ৮ দিন পরে ফের তাঁদের পরীক্ষা করতে হবে।
আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করতে হবে। এদিকে করোনা সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যতে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে কি কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে? দোকানপাট, শপিং মলের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? দিল্লির মতো এরাজ্যেও কি স্কুল-কলেজ বন্ধ হতে পারে?
অন্যদিকে, বিরোধীরা আবার প্রশ্ন তুলছে, ওমিক্রন পরীক্ষার জন্য রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে তো? সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ।