তাহেরপুর (Taherpur) থানার ওসি বদল। অভিজিৎ বিশ্বাসকে বদলি করা হল রানাঘাট পুলিশ জেলা অফিসে। তাহেরপুর (Taherpur Police Station) থানার নতুন ওসি হলেন অমিয়তোষ রায়। আগে ধানতলা থানার ওসি ছিলেন তিনি। ধানতলা থানার নতুন ওসি রজনী বিশ্বাস। তিনি ছিলেন তাহেরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার। রুটিন বদলি জানিয়েছে জেলা পুলিশ।


উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পুরভোটের তৃণমূলের ঝড়ের মধ্যেও নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখলে রাখল বামেরা। তাহেরপুরের ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টিতে বামেরা জয়ী হয়েছে। তৃণমূল জিতেছে ৫টি আসনে। ব্যতিক্রমী তাহেরপুরে ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে সিপিএম জিতেছে। পাঁচটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তৃণমূলের। নিজেদের দখলে পুরসভা রাখতে সমর্থ হয়েছে তাহেরপুর। 


এরপরই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এতকিছুর পরও কোনও কোনও ওয়ার্ডে কীভাবে তৃণমূল হারল। নির্বাচনের কর্মীরা ও পুলিশ কেন জেতাতে পারল না তৃণমূলকে, তার জন্য আমার মনে হয় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তৃণমূল বারবার বিরোধী শূন্য রাজনীতির কথা বলছিল, কিন্তু এর মাঝেও তাহেরপুরের মানুষ সব প্রতিকূলত রোধ করে ভোট দিয়েছে।'


সুজন আরও বলেন, ''তাহেরপুরেও সবরকম প্রচেষ্টা করা হয়েছিল যাতে ভোট মানুষ দিতে না পারে। কিন্তু এরপরও মানুষ সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। তাঁদের স্যালুট জানাই আমি। তৃণমূলের ভোট একেকটি ওয়ার্ডে ৮৭ শতাংশ, ৮৭.২৪, ৯১ শতাংশ। এটা না কি ভোট শতাংশ। বিভিন্ন জায়গায় পুরোপুরি দখলদারি করতে পারেনি। ছাপ্পা চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। যেখানে মানুষ খানিকটা ভোট দিতে পেরেছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে তৃণমূলের হাল ভাল না। বিজেপি তো নেইই, কিন্তু বামপন্থীরা আবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে।''


তৃণমূলকে একহাত নিয়ে সুজন আরও বলেন, ''বাইরে থেকে বাহিনী নিয়ে এসে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নষ্ট করছে। কামারহাটির তৃণমূলের প্রার্থী ভোট দিতে পারেনি। উত্তর দমদমে তৃণমূল প্রার্থীর মেয়ে ভোট দিতে পারেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেকে লোকই ভোট দিতে পারেনি। মানুষের এই দলটার প্রতি বিশ্বাস কমছে, এবারের নির্বাচন তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরাই যে বিকল্প, তা সবাই বুঝতে পারেছ।''