মুম্বই: আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হওয়া মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতের মেয়াদ ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়াল আদালত। ইডি আধিকারিকদের দাবি, মুম্বইয়ের কুরলায় নবাব মালিকের আরও একটি বেআইনি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
আর্থিক প্রতারণা মামলায় কুখ্যাত অপরাধী দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। আজ তাঁর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। সেই কারণেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। বিশেষ আদালতের বিচারপতি আর এন রোকাডের এজলাসে পেশ করা হয় নবাব মালিককে। বিচারপতি তাঁকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন 'লড়কে জিতেঙ্গে', দাউদযোগে গ্রেফতার হয়ে হুঁশিয়ারি নবাবের
ইডি গ্রেফতার করার পর ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ছিলেন নবাব মালিক। ফলে সেই সময় তাঁকে জেরা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া তদন্তে আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সেই কারণেই নবাব মালিকের ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল আদালত।
সম্প্রতি ইউএপিএ আইনে দাউদ সহ কয়েকজনের নামে এফআইআর করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। দক্ষিণ মুম্বইয়ে ইডি দফতরে প্রায় ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় নবাব মালিককে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ ও আইনজীবী হীতেন বেনেগাওঙ্কর প্রথমে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন জানান। তবে সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত।
গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নবাব মালিক। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্ট সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির অনুমতি দেয়। নবাব মালিকের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, আরও অনেকজনকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে নবাব মালিকের পদত্যাগ দাবি করেছে। নবাব মালিক অবশ্য গ্রেফতার হওয়ার পরেও এখনও পদত্যাগ করেননি। তাঁকে পদত্যাগ করতেও বলেননি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। নবাব মালিকের গ্রেফতারি নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।