বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার পর এবার বীরভূম। বীরভূমের লাভপুরের ডাঙ্গাল গ্রামে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃত বৃদ্ধের নাম তমালকৃষ্ণ মণ্ডল। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত বাঁকুড়া জেলায়। গতকাল বাঁকুড়ার বাঁকাদহ এলাকায় দেওয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যুর পর গতকাল রাতে ছাতনায় দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম পুরবী হাঁসদা। বাড়ি ছাতনা ব্লকের  দক্ষিণ হাঁসাপাহাড়ি গ্রামে। স্থানীয় ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের দাবী আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্বেও বাড়ি না পাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজের মাটির বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন পুরবী হাঁসদা। আচমকাই মাটির কাঁচা বাড়ির দেওয়ালের একাংশ তাঁর গায়ের উপর ধসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দেওয়াল ধসে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য চাপানউতোর।


এদিন পুরুলিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে। প্রবল বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে দেওয়াল ধসে জেলায় জেলায় মৃত্যু। প্রবল বর্ষণের জেরে দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল এক তিন বছরের শিশুকন্যার। আহত হন চার জন।আজ সকালে ঘটনাটি ঘটে কেন্দা থানার অন্তর্গত পানিপাথর অঞ্চলের দরডি গ্রামে। সেখানে মাটির দেওয়াল ভেঙে গুরুতর আহত হয় ২ শিশু। পরে তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় তিন বছরের নিত্যা সহিসের।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল রাত্রি থেকে ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে পাশের এক ব্যাক্তির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। এতে তাঁর ছেলে ও মেয়ে ছাড়া আরও তিন পরিবারের সদস্য আহত হন। তাদের চিকিৎসা চলছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পেলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না, দাবি মৃত শিশুর পরিবারের। 


ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক


এদিন পুরুলিয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকলেও বাড়ি না পাওয়াতেই দুর্ঘটনা, দাবি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। বৃষ্টির মধ্যে কাঁচা বাড়ি ভাঙার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আবাস যোজনার বকেয়া কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ করে বিজেপির দাবি, ঠিকমতো হিসেব না দেওয়ার এবং দুর্নীতির কারণেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আবাস যোজনা প্রকল্প।