কলকাতা: পিছোচ্ছে না পুরভোট, এমনটাই খবর রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ১০৮টি পুরসভার ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারিই। ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির আর্জি খারিজ করে এমনটাই জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


২৭ ফেব্রুয়ারির পুরভোট (Municipal Election 2022) পিছনোর দাবি বিজেপির (BJP)। ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক,  রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি জানাল রাজ্য বিজেপির। তাদের দাবি, রাজ্যের সব পুরসভার ভোটগণনা একদিনে করা হোক।


এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের হার কমলেও বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে  উত্তরবঙ্গে করোনার প্রকোপ  খুবই বেশি।এর পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত ভোট পিছিয়ে দেওয়াই উচিত। সেই সঙ্গে বিজেপি বলেছে, আমাদের  দেশে নিয়ম আছে, ভোট চললে গণনা হয় না।  যাতে এর প্রভাব অন্য ভোটে না পড়ে। যেহেতু রাজ্যেরই বিভিন্ন পুরসভার ভোট হবে, তাই একসঙ্গেই সবকটি পুরসভার ভোট গণনা করা দরকার। 


বিজেপির এই দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কটাক্ষ, হারের ভয়েই এই দাবি করছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, বিজেপির বরং স্মারকলিপিতে লিখে দেওয়া উচিত , যতদিন না প্রার্থী খুঁজে পাব, যতদিন না দলের গণ্ডগোল মিটবে, যতদিন না বুথ এজেন্ট, কর্মী খুঁজে পাব, ততদিন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। 


গতকালই রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, কলকাতার ফল দেখে আতঙ্কিত। অস্তিত্বহীনতার ভয়ে ভোট পিছনোর কথা বলছে রাজ্য বিজেপি। 



২২ জানুয়ারি বিধাননগর , চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল এই চার পুরসভার ভোট হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে হাজারো তরজা ও হাইকোর্টে আইনি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে চার পুরসভার ভোট।  রাজ্য সরকারের তরফে সায় মেলার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। বাংলায় ভয়ঙ্কর করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যায় চার পুরসভার ভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোট গণনা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। রাজ্যে শতাধিক বকেয়া পুরভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি করাতে চেয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।