কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আর বন্ধ নয় দোকান। এবার থেকে সবার জন্য খুলে গেল পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন। 


রাজভবন এখন থেকে জন রাজভবন হিসেবে পরিচিত হবে। এবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা থাকবে। বাংলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই চাবি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছিলেন। রাজভবনের ভিতরে ও বাইরে ‘হেরিটেজ ওয়াক’ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বলা হয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ঔপনিবেশিক মানসিকতা ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত। এর আগে রাষ্ট্রপতি নিজের উদ্যোগে সেকেন্দ্রাবাদে ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়’ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।


রাজভবন আর শুধু রাজ্যপালের নয়, জনগণেরও। ভাঙতে চলেছে ঔপনিবেশিক মানসিকতার বেড়াজাল। এবার রাজভবনে প্রবেশের অধিকার পেতে চলেছে আমজনতা। রাজভবনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দ্রুত সাধারণের জন্য খুলতে চলেছে রাজভবনের দরজা।



চাবি দিলেন রাষ্ট্রপতি:
সোমবার দু'দিনের বঙ্গ সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সম্মানে রাজভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রাজ্যপালের দেওয়া রাজভবনের প্রতীকী চাবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।শীঘ্রই রাজভবনের ভিতরে ও বাইরে হেঁটে ঘোরা যাবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ ওয়াক। 


দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। প্রথমদিনই তাঁকে নাগরিক সম্বর্ধনা (Felicitaion Program) জানানো হয়। এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবন ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সফরের দ্বিতীয় দিন বেলুড় মঠে যান। এই সফরের মাঝেই একসময় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চাবি তুলে দেন তিনি।


আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না, BJP র অবস্থান, বাম-কংগ্রেসের জোড়া মিছিল, কোন কোন রাস্তায় যানজটে হতে পারেন নাকাল?