কলকাতা: বছর শেষে ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনার (Corona) প্রকোপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ থেকেই শুরু হল পরিদর্শন। শ্বাসকষ্ট এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে পরিদর্শন করবে স্বাস্থ্যদফতরের একটি বিশেষ টিম।


স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কতটা প্রস্তুত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পরিকাঠামো যেমন বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি চিকিৎসা সরঞ্জাম, অক্সিজেনের জোগান বা টেস্টিং-সহ সমস্ত ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে। এর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের টিম সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলি পরিদর্শন করবে। 


রাজ্যে বেশ কয়েকজন নতুন করে করোনা (Corona) আক্রান্ত হলেও স্বস্তির খবর একটাই। জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ে মেলেনি কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। তবে ভিড়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।                                                                                         


কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আরও ৫ জন কোভিড আক্রান্ত।এদের মধ্যে ২ জন ভর্তি রয়েছেন বেলভিউতে। ঢাকুরিয়া আমরিতে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন।


মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে পরিদর্শন। বি সি রায় হাসপাতালে যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি বিশেষ টিম। পরে, আরজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও পরিদর্শনে যান তারা। 


উৎসবের আবহে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৭৫২ জনের শরীরে। WHO জানিয়েছে, গত এক মাসে, গোটা বিশ্বে করোনার দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২ শতাংশ। 


শ্বাসকষ্ট বা ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীদের চিকিৎসার জন্য় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। কোভিড টেস্টের পরিকাঠামোও পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য দফতরের স্পেশাল টিম।তবে স্বস্তির খবর এই যে, এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে কোভিডের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর হদিশ মেলেনি। সম্প্রতি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সে পাঠানো হয়েছিল ৭ টি নমুনা। জেনোমিক সিকোয়েন্সিয়ে তার কোনওটাতেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলেনি। বেলেঘাটার নাইসেড সূত্রে খবর, সেখানেও শুরু হতে চলেছে জেনোমিক সিকোয়েন্সিং।