শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital) বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ পরিবারের। ভাঙা হাত-পা এবং মাথা ও চোয়ালে গুরুতর চোট নিয়ে বাড়িতেই পড়ে আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) বাসন্তীর বাসিন্দা ভাস্কর অধিকারী। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এনআরএস হাসপাতালের (NRS Hospital) উপাধ্য়ক্ষ ইন্দিরা দে পাল।  


ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ভেঙেছে হাত-পা, বুকের পাঁজর ও শরীরের একাধিক হাড়। মাথা ও চোয়ালে গুরুতর চোট। এই অবস্থায় বাড়িতে পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় আহত বাসন্তীর বাসিন্দা ভাস্কর অধিকারী। পরিবারের অভিযোগ এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করলেও তাঁর কোনও চিকিৎসা হয়নি। 


ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতের দাদা বিশ্বনাথ অধিকারী বলছেন, নীলরতনে নিয়ে গেলাম। নীলরতনে কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। শরীর আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাড়িতে নিয়ে এলাম।


পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ভাস্কর অধিকারী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজে যাচ্ছিলেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে বালেশ্বরে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ সেখানে ঠিক মতো চিকিৎস হয়নি। তাই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, এনআরএস হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। 


প্রতিবেশী বিলাস মণ্ডলের কথায়, বাড়িতে নিয়ে এলাম এনআরএসে ভর্তি করেছিলাম বাল চিকিৎসা হবে। তিন দিন রেখেছিলাম। গাতে কেউ হাত দেয়নি। ওষুধ দিয়েছে। সিস্টারকে বললাম ড্রেসিং করতে হবে। বলল কে হাত দেবে। ডাক্তার যদি করে করবে। আমরা হাত দিয়ে মরব নাকি।              


বাধ্য হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্য়রা। চাঁদা তুলে আহতের চিকিৎসার ব্য়বস্থা করছেন গ্রামবাসীরা। প্রতিবেশী সচিন নস্কর বলছেন, আমরা গ্রামের মানুষরা চেষ্টা করছি চাঁদা তুলে তাঁকে ভাল ট্রিটমেন্টের জন্য। আমরা দিশাহারা। কী করে জানিনা ওকে কীভাবে বাঁচাব। সবাইকে আমরা অনুরোধ করছি। সবাই যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ওকে আমরা বাঁচাতে পারব।


অভিযোগ প্রসঙ্গে এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন্দিরা দে পাল জানিয়েছেন, অভিযোগ করা হলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ভাস্করের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। কথাও বলতে পারছেন না। অসহায় পরিবার চাইছে পাশে দাঁড়াক সরকার। তাহলে অন্তত চিকিৎসাটুকু হবে।