আবির দত্ত, কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টেলিগ্রামে গ্রুপের মাধ্যমে ​উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভুয়ো প্রশ্নপত্র (Fake Question Paper) ছড়িয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary 2024) শিক্ষা সংসদ। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যর। মূল অভিযুক্ত রূপম সাধুখাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (HS Qustion Paper Scam)।


সংসদের অভিযোগ, কিউআর কোডের (QR Code) মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে কিউআর কোড থেকে নদিয়ার হবিবপুরের এক তরুণীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। তরুণীর দাবি , তাঁর বন্ধু রূপম সাধুখাঁ এটিএম কার্ড কেড়ে নিয়ে ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন করেছেন। 


১৮ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর সাইবার থানায় উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের (Higher Secondary Examination 2024) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। অভিযোগ পত্রটিতে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সভাপতি আরও দাবি করেন যে ওই চক্রটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তাঁরা অর্থের বিনিময়ে দিতে পারবেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ।  প্রাথমিকভাবে পুলিশ দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে। যার মধ্যে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে। সেই অ্যাকাউন্টটি ছিল নদীয়ার বাসিন্দা প্রীতি শর্মার নামে। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ যোগাযোগ করে প্রীতি শর্মার সাথে। তিনি পুলিশকে জানায়, তাঁর এটিএম কার্ডটি তাঁর বন্ধু রূপম সাধুখাঁ জোর করে নিয়ে গিয়েছে। ওই মহিলা পুলিশকে আরও জানায় যে তিনিও ব্যাঙ্কের থেকে পাঠানো এসএমএস মারফত জানতে পারেন, তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে যেগুলো তিনি করেননি। এরপরই বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে রূপম সাধুখাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করে ধৃত রূপমকে  নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সাথে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিশ।     


 আরও পড়ুন: 'মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারছেন না, নিরীহ সাংবাদিকদের গ্রেফতার করছেন', সন্তু পানকে জামিন দিয়ে তোপ হাইকোর্টের