ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার: দেশে এত সংক্রমণের (Corona Case) বাড়বাড়ন্ত কি ওমিক্রনের (Omicron) জন্য? না ডেল্টার (Delta) জেরেই আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ (Third Wave)? চিকিত্‍সকদের দাবি, ডেল্টা-সহ করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ তো রয়েছেই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওমিক্রনও।


দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের পৌঁছে গিয়েছে এক লক্ষের দোরগোড়ায়। অন্যদিকে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দেশে এত সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ওমিক্রনের জন্য? না কি, ভারতে এখনও সংক্রমিত করছে করোনার ডেল্টা-সহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলি?


গত বছরের নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পান চিকিত্‍সকরা। বলা হয়, ডেল্টার থেকে প্রায় ৬ গুণ বেশি সংক্রামক করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।  বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে বেশি মাত্রায় মিউটেশন হয়েছে। যেখানে ডেল্টায় ১৮টি মিউটেশন পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ওমিক্রনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন হয়েছে। তবে, বর্তমানে দেশজুড়ে সংক্রমণবৃদ্ধির কারণ একমাত্র ওমিক্রন নয়, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।


এবিষয়ে চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রন। পুরোটা ওমিক্রন নয়। ডেল্টা-সহ অন্যগুলো তো রয়েছেই, এর সঙ্গে ওমিক্রন যুক্ত হয়েছে। চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেন, এত পজিটিভ হচ্ছে। ওমিক্রনের সংখ্যা খুব কম। তাই ডেল্টা বা ওই ধরনের কিছু। নিজেকে মিউটেড করে নতুন কিছু যা ওমিতক্রনের মতো ব্যবহার করছে। মানুষের অসাবধানতার জন্য এসব হয়েছে।


কিন্তু ডেল্টা না ওমিক্রন, কোন ভাইরাসে আক্রান্ত তা বোঝা যাবে কী করে? চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিকের কথায়, সবই করোনার রূপ। মিউটেশন হচ্ছে। প্রথমে কোভিড হয়েছে কিনা দেখতে হবে, তারপর জিনোমিক সিকোয়েন্সিং। আবার অনেক চিকিত্‍সকের দাবি, বিশেষ ব্যবস্থা থাকলে, RTPCR টেস্টের মাধ্যমেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তার একটা প্রাথমিক অনুমান পাওয়া যায়।  তবে ডেল্টাই হোক বা ওমিক্রন, করোনা ভাইরাসের যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণেই সতর্ক থাকা ও কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।