মোহন প্রসাদ, তুহিন অধিকারী ও হংসরাজ সিংহ: করোনা (Corona) সংক্রমণ রুখতে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত পর্যটনস্থল (Tourist Spot)। যাঁরা ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙে (Darjeeling) গিয়েছেন, তাঁরা একে একে পাহাড় ছাড়ছেন। পর্যটকশূন্য পুরুলিয়ার (Purulia) গড়পঞ্চকোট, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর।


বর্ষশেষে (Year End) মানুষের আনাগোনা বেড়েছিল পাহাড় সহ রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন স্থলগুলিতে। কিন্তু গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি বদলেছে। বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। বন্ধ হয়েছে পর্যটনস্থল। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় থেকে পর্যটকরা নামতে শুরু করেছেন। ট্রয় ট্রেন চললেও তা কার্যত ফাঁকা।


দার্জিলিঙের এক হোটেল কর্মী জানাচ্ছেন ৮০ শতাংশ বুকিংই ক্যানসেল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দার্জিলিঙে ৩ জন পর্যটক কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। তাঁরা দার্জিলিং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সচেতনতা অভিযানে নামে পুলিশ।


পর্যটকশূন্য বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরও। সেখানকার সমস্ত মন্দিরের গেট বন্ধ। ফাঁকা হোটেলগুলি। বিষ্ণুপুরের এক ট্যুর গাইড বলেন, পর্যটক এলেও বাইরে থেকে মন্দির না দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে। আমাদের এই সময়টা পিক টাইম। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের মরশুম থাকে। এরকম চললে সংসার চালাতে পারবো না। রাজ্য সরকারের এই নিয়ে ভাবা উচিত।


শুনশান পুরুলিয়ার (Purulia) গড়পঞ্চকোট। কিছু পর্যটক এলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। রিসর্টগুলির পক্ষ থেকেও বাতিল করা হয়েছে বুকিং। সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গড়পঞ্চকোটের একটি রিসর্টের ম্যানেজার গত ৩ তারিখ থেকে তারা পর্যটকদের বুকিং বাতিল করেছেন। রিসোর্টে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে , বছরের এই দিনগুলির অপেক্ষায় থাকেন তারা কিন্তু করোনা অতি মারির কারণে যা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন। এক ব্যবসায়ীর কথায়, “এই দুটি মাসের ব্যবসার উপরে সারাবছর জীবন অতিবাহিত হয় কিন্তু হঠাৎ করে এবছর পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়ায় তাদের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’’


আরও পড়ুন: Awareness Campaigning: করোনা রুখতে তৎপরতা, উত্তর দিনাজপুর থেকে কোচবিহার, সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচার