কলকাতা: দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পথে হেঁটে ‘পদ্ম’-প্রত্যাখ্যানকারীদের কটাক্ষ করলেন অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। বুধবার নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা অপমানিত বোধ করে পদ্মভূষণ বা পদ্মশ্রী (Padma shri) প্রত্যাখ্যান করলেন শুনছি পরের বছর তাঁদের বঙ্গভূষণ (Bangabhusan) বা বঙ্গশ্রী দেওয়া হবে এবং সেটি নিতেই হবে, প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।’ ‘পদ্ম’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানকারীদের কটাক্ষ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার (BJP Leader Anupam Hazra)।



পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাড়িতে আসতে বারণ, ট্যুইট করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অন্যদিকে, পদ্মশ্রী নেব না, মন চাইছে না, সম্মান প্রত্যাখ্যান নিয়ে দাবি করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। পদ্মশ্রী ফেরানোর দাবি পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়েরও। এখানে সবকিছু নিয়েই রাজনীতি হয়। কমিউনিস্টরা চিরকাল দেশের পরম্পরা ও সংস্কৃতিকে অপমান করে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


মঙ্গলবার মোদি সরকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পদ্মভূষণ দেওয়ার ঘোষণা করে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার প্রত্যাখান করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জানিয়ে দেন, পদ্মভূষণ তিনি নিচ্ছেন না। আর তা নিয়েই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সব কিছু নিয়ে রাজনীতি হয় না।   কালকে পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে হয় পশ্চিমবঙ্গ সব সময় ভারতবর্ষের বাইরে। সিপিএমও তাই করেছে। টিএমসি-ও  তাই করছে। সাধারণ বাঙালি বা দেশপ্রেমিক, তাঁদের ধীরে ধীরে দেশের বিরোধিতা করতে শেখানো হচ্ছে। কিন্তু কমিউনিস্টরা দেশের পরম্পরা ও সংস্কৃতিকে অপমান করেছে।


১৯৯২ সালে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক EMS  ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ পদ্মভূষণ সম্মান প্রত্যাখান করেছিলেন। ২০০৮ সালে যখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় তখন জ্যোতি বসুকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান, ভারতরত্নে ভূষিত করা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু, জ্যোতি বসু তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন, তিনি ভারতরত্ন নেওয়ার দৌড়ে নেই। এবার মোদি সরকারের পদ্মভূষণ পুরষ্কার প্রত্যাখান করলেন বুদ্ধদেব।


পাশাপাশি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁদের কাছে ফোন আসে। তখনই তাঁকে পদ্ম-সম্মান দেওয়ার কথা জানানো হয়। যদিও, প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন। এবিপি আনন্দকে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রত্যাখ্যান করেছি। পুরস্কার নিতে মন চাইছে না।’’ পদ্ম-সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেছেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও।