অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চিতার আক্রমণে (Leopard Attack) গুরুতর আহত তিন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দলগাঁও বস্তির বাঁধের পাড় এলাকায়। আহত শিশুদের চিকিৎসা চলছে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
চিতার আক্রমণে আহত: স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনমজুর কিশোর ওঁরাও-এর তিন সন্তান বাড়ির উঠোনেই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করছিল। ঘরে কিশোর ওঁরাও-এর ভাই এবং এক বন্ধু রান্নার কাজ করছিল। বাড়ির উঠোনে শিশুদের রেখেই তার বাবা পাশের দোকানে যায়। এরই মধ্যে আচমকা চিতাবাঘ শিশুদের উপর আক্রমণ চালায়। শিশুদের চিৎকারে বেরিয়ে আসে সবাই। ছুটে চলে আসেন বাবা কিশোর ওঁরাও। চিতাবাঘটি ভয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি। কপালক্রমে প্রাণে বাঁচলেও তিন শিশুই চিতার আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান অন্তর্গত মাদারিহাট রেঞ্জ আধিকারিক রামিজ রোজার বলেন ,আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বন দফতর বহন করবে। এলাকায় বসানো হচ্ছে খাঁচা। পাশাপাশি চলবে বনকর্মীদের টহলদারি।
এদিকে রেসিডেন্সিয়াল হাতির তাণ্ডবে (Bankura Elephant) অতিষ্ঠ বাঁকুড়ার (Bankura) দশ-পনেরোটি গ্রামের মানুষ। রাত হলেই মাঠের ফসল খেতে বেরিয়ে আসছে সে, অভিযোগ এমনই। গত মাসে গড়বেতা বিক্রমপুর রাজ্য সড়কের জামবনি মোড়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে রাস্তা আগলে দাঁড়িয়ে থাকে সে। বন দফতরে বার বার জানিয়েও সুরাহা মেলেনি, শোনা গিয়েছে এমন কথাও। দীর্ঘ দু-তিন মাস ধরে এই তাণ্ডব চলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। তাঁদের দাবি, রাত হলেই জঙ্গল-লাগানো মাঠের ফসল খেতে বেরিয়ে আসে হাতিটি। শুধু তাই নয়, রাস্তা আগলে দাঁড়িয়ে ছিল হাতি। যার ফলে যাত্রীবাহী বাস-সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে তীব্র সমস্যা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, গত দু'মাস ধরে এলাকার মানুষ জন বন দফতরে এই নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। তাঁদের অভিযোগ, খেতে কুমড়ো লাগানো হয়েছিল। হাতি এসে সেই কুমড়ো সমস্ত নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে নতুন করে গাছ লাগাতে বাধ্য হন তাঁরা। বন দফতরের বক্তব্য, একলা থাকায় হাতিটি অন্যত্র যেতে পারছে না। মাঝে মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলের দিকে হাতিটি নিয়ে যাওয়া হলেও ফের সেটি বাঁকুড়ার জামবনীর জঙ্গলে ফেরত চলে আসে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: ভোট মিটলেও মিটছে না অশান্তি, ভাঙড়ে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ