কলকাতা: মধুমেহ বা ডায়াবেটিস। সুস্থ জীবনযাপনের পথে বাধা আনতে পারে যখন -তখন। শুধু তাই নয়, একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথও প্রশস্ত করে দেয় ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সমস্যা। বিশ্বের বিপুল অংশের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে না, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াতেও সমস্যা হয়।


ডায়াবেটিসকে মূলক ২ ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হল টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস (Type 1 diabetes) এবং অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes)। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মূলত ডায়েট ঠিকমতো না হলে, শরীরচর্চা না করলে, সবসময় স্ট্রেস বা কোনও উদ্বেগের মধ্যে থাকলে সহজেই থাবা বসায় ডায়াবেটিস। 


নিয়ম মেনে জীবনযাপন, কড়া নজরদারি,সুষম  আহার এবং ঘরোয়া টোটকা ডায়াবেটিসে লাগাম পরানোর জন্য প্রয়োজনীয়। টোটকার তালিকা তৈরি করলেই তাতে থাকবে আদা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য় করে শুকনো আদা। 


পদ্ধতি মেনে আদা শুকিয়ে নিয়ে শুকনো আদা রান্নার নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই আদা গুঁড়ো বা শুকনো আদার একাধিক পুষ্টিগুণও রয়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিসে এর কী উপকার?


Journal of Ethnic Foods- এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলেছে, হয়তো আদা খেলে শরীরে A1C মাত্রা এবং ফাস্টিং সিরাম গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে পারে। 


Nutrients- জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে আদার মধ্যে এক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম, লিপিড প্রোফাইল, রক্তে কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কিছু উৎসেচক, সেগুলি আদায় পাওয়া যায় হয়তো। 


আদায় রয়েছে Gingerols, দেহে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে। Iranian Journal Of Pharmaceutical Research-এর একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। 


শুধু ডায়াবেটিসের জন্যই নয়, হজমশক্তি ভাল করা, ঠান্ডা-সর্দির সমস্যার মোকাবিলা করাতে সাহায্য করে। প্রদাহরোধী গুণও রয়েছে আদার।


শুকনো আদা কীভাবে খাওয়া যায়? সামান্য একটু আদা গুঁড়ো উষ্ণ জলে মিশিয়ে নেওয়া যায়। তারপরে সেখানে সামান্য নুন মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ খাওয়ায় যায়। ঘরোয়ো এই টোটকা অনেকেই নিয়ে থাকেন। তবে সবকিছুই, বিশেষ করে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: স্বাদে, স্বাস্থ্যে বাঙালির হেঁশেলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পোস্ত-র