রাজীব চৌধুরী, ধূলিয়ান: গঙ্গায় (Ganges Tragedy) স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল তিন স্কুলপড়ুয়া। মঙ্গলবার ধূলিয়ানের (Murshidabad) কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে ঘটনাটি ঘটে। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও ভরা গঙ্গায় তলিয়ে যায় বাকি দু'জন। তাদের নাম রোহন শেখ এবং মোজাহিদ শেখ। রোহনের বয়স ১২ বছর, মোজাহিদের ১৩ বছর।


কী জানা গেল?
রোহন ও মোহাজিদ, দু'জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার হিজলতলা গ্রামে। উভয়েই কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। এদিন তাদের তলিয়ে যাওয়ার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরি টিমকে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য সব স্কুল খুললেও কাঞ্চনতলা স্কুলে পঞ্চায়েত ভোটে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে স্কুল। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে না পেরে এদিন তারা পড়তে এসেছিল। তার পর স্কুল বন্ধ দেখে গঙ্গার ধারে খেলতে চলে যায়। গঙ্গার ধারেই ব্যাগ রেখে নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তারা। তখনই তলিয়ে যায়। খবর জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। তখনই এক মাঝির তৎপরতায় নাজিম শেখ নামে এক ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ছুটে আসেন ধূলিয়ান পৌরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। হঠাৎ এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 


নতুন নয়...
গত মাসে একই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গত ৮ জুন, আনুমানিক দুপুর দুটো নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত মহেশতলা পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কানখুলি পোদিরহাটির বাসিন্দা শেখ আমান নামে সতেরো বছরের এক স্কুলপড়ুয়া তার দুই বন্ধুর সঙ্গে 'তারা মা' গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে এসেছিল। কিন্তু সে সম্ভবত সাঁতার জানত না। তাই গঙ্গার ঘাটে বসেছিল। বাকি দুই বন্ধু স্নান করতে গঙ্গায় নামে। হঠাৎই জলের তোড়ে তলিয়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে দুই বন্ধু খুঁজতে শুরু করে শেখ আমানকে। না পেয়ে শেষমেশ কিশোরের বাড়িতে ফোন করে তার গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানায়। ঘটনাস্থলে বাড়ির লোক ছাড়া রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশও আসে। নামানো হয় ডুবুরি। দিনদুয়েক পর স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে গঙ্গারপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় আমানের দেহটি দেখতে পান। তাঁরাই দেহটি গঙ্গার পাড়ে নিয়ে আসার পাশাপাশি রবীন্দ্রনগর থানায় ফোন করে জানান। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আমানের পরিবারের লোকজনেরাও। পরিজনদের দাবি, মাধ্যমিক পাস আমানের বাবা শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জন্য তার উপার্জিত পয়সাতেই সংসার চলত। দুই সন্তানের সেই বড়। পরিবারের বাবা মা ছাড়াও তার ছোট এক ভাইও আছে।


আরও পড়ুন:স্কুল জীবনে বাবার মৃত্যু, সাইকেল সারিয়ে প্রথম আয়! হার না মানা জেদের জোরেই এখন IAS