সৌমিত্র রায়, সত্যজিৎ বৈদ্য, সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : রাত পেরোলেই ২১ জুলাই। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা যেমন আসছেন, তেমনই জেলা থেকে দলীয় কর্মীরাও ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁদের জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'সিপিএমের আমলে কাউকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হত না...', একুশের আগের রাতে বিস্ফোরক মমতা
উত্তীর্ণ সভাগৃহে তৃণমূলকর্মীদের জন্য থাকা ও খাওয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারে গরম ভাত, ডাল, ডিমের তরকারি দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই ৪ হাজার কর্মী এসে পৌঁছেছেন। উত্তীর্ণ সভাগৃহের তিনটি ফ্লোরেই দলীয় কর্মীরা রয়েছে। অনেকেই সন্ধ্যায় দলের আয়োজিত খাবার খেয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার গতকালই এসেছেন এখানে। আসার পরেই ধর্মতলার সভামঞ্চে চলে গিয়েছেন।
কাল কী বার্তা দেবে তৃণমূল নের্তৃত্ব ছাব্বিশের ভোটের আগে ? পুরুলিয়ার এক তৃণমূল কর্মী এবিপি আনন্দ-কে জানিয়েছেন, আমরা শুধুই আমাদের নেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল থেকে এসেছি। কারণ আমরা দেখেছি, দিদি জঙ্গলমহলের মানুষের সাথে আছেন।...ছাব্বিশের আগে, আপনারা জানেন, সারাদেশে বিজেপির যেমন বাংলা বিদ্বেষী মনোভাব, বাঙালিদেরকে যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে (ভিন রাজ্যে) তার বিরুদ্ধে যেমন আমাদের নেত্রী রাজপথে নেমেছেন, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন, ঠিক কালকে সেই বার্তা শোনার জন্য এসেছি।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, '১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা, সিপিআইএম এর পুলিশের বর্বরোচিত অত্যাচার এবং নির্মমগুলিতে, অকালে প্রাণ হারান। ওইদিন বন্দন দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, বিশ্বনাথ রায়, কল্যাণ ব্যানার্জী, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ রায়, মহম্মদ খালেক, এবং ইনু শহিদ হন। '
ছাব্বিশের ভোটের আগে তৃণমূলের শেষ ২১ জুলাই। কোন পথে মিছিল এগোবে, পাশাপাশি আচমকা সমস্যায় পড়লে কোন হেল্পলাইনে ফোন করতে হবে, জানাল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শিয়ালদা থেকে মিছিল SN ব্য়ানার্জি রোড, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ধর্মতলা পৌঁছবে। শ্য়ামবাজার মিছিলগুলি সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, SN ব্য়ানার্জি রোড হয়ে পৌঁছবে ধর্মতলা। হাওড়ার দিক থেকে আসা মিছিলগুলি যাবে ব্রেবোর্ন রোড, সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, সমস্যায় পড়লে কলকাতা পুলিশের ৩টি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করা যাবে। ৩টি টোল ফ্রি নম্বর 1073, 98308-11111, 98300-10000.