নয়াদিল্লি: বছরের গোড়া থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে প্রকৃতি। পর পর ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, বন্যার প্রকোপ চলছেই। এবার আছড়ে পড়ল টাইফুন। হংকংয়ে আছড়ে পড়ল টাইফুন উইফা (Typhoon Wipha). এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হংকংয়ের। স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছে আপাতত। শতাধিক বিমানের উড়াল বাতিল হয়েছে। (Typhoon Wipha Alert)
স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ হংকং থেকে ৬০ কিলমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল টাইফুন উইফা। পূর্ব উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতাও হঠাৎ বেড়ে যায়। হংকং আবহাওয়া দফতর প্রথমে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। T10 পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়। পরে সন্ধে ৭টা বেজে ৪৫ মিনিটে যদিও তা কিছুটা শিথিল করা হয়। ২০২৩ সালে শেষ বার টাইফুন সাওলার জন্য় T10 সতর্কতা জারি হয়েছিল হংকংয়ে।
টাইফুন উইফার গতি ঘণ্টায় প্রায় ১১৮ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। এই মুহূর্তে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কবলে হংকং। শত শত মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অবিরাম ভারী বৃষ্টিতে কার্যত ঝাপসা হয়ে গিয়েছে চারিদিক। হংকং থেকে চিনের গুয়াংদংয়ে ল্যান্ডফল হয় টাইফুন উইফার। সেখানে ঝড়ের গতিবেগ সেকেন্ডে ৩৩ মিটার ছিল বলে জানিয়েছে চিনের Global Times. সেখানে প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে ঝড়ের প্রকোপে কার্যত বেসামাল হতে দেখা গিয়েছে মানুষজনকে। গাছপালা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর।
টাইফুন উইফার শক্তি আঁচ করে হংকং বিমান বন্দরের ৫০০টি বিমান বাতিল করা হয়। সময়সূচি বদল হয় প্রায় ৪০০ বিমানের। Cathay Pacific Airways নিজেদের সমস্ত বিমান বাতিল করে। রবিবার বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে হংকং বিমানবন্দরে তাদের সমস্ত বিমানের উড়ান এবং অবতরণ বন্ধ ছিল। টিকিট পরিবর্তনের জন্য বাড়তি কোনও টাকাও নেওয়া হয়নি যাত্রীদের কাছ থেকে। বরং যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। শহরের ফেরি পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কমিয়ে আনা হয়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও।
সরকারি হাসপাতালগুলিতেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রাখা হয় এদিন। চিনের হাইনান এবং গুয়াংদং প্রদেশেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টাইফুন উইফার প্রকোপে ফিলিপিন্সে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কয়েক জন নিখোঁজ বলেও খবর।