বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের (purba medinipur) নন্দীগ্রামে (nandigram) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির শহিদ দিবসের মঞ্চের একাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। গতকাল গোকুলনগরের করপল্লিতে আলাদাভাবে শহিদ দিবস (shahid dibas) পালন করে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি। তৃণমূলের মঞ্চে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী ও অখিল গিরি। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই মঞ্চের একাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি


যা জানা গেল...
গত কাল, ১০ নভেম্বর উপলক্ষ্যে শহিদ সমাবেশ হয়েছিল নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারেই আলাদা সভা করে বিজেপি ও তৃণমূল। শাসকদলের আয়োজিত সেই সভায় হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ, অন্য দিকে বিজেপির সভায় এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, শহিদ মঞ্চের ঠিক পাশে তৃণমূলের যে মঞ্চ বাধা ছিল তা কেউ বা কারা রাতে পুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। বিজেপির দাবি, এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। এটা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নন্দীগ্রামের বিশাল পুলিশবাহিনী। বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছে। উল্লেখ্য, গত কালই তৃণমূলের ওই সভায় তীব্র অশান্তির ছবিও ধরা পড়ে।


অশান্তি কেন?
নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত তৃণমূলের সভায় বিশৃঙ্খলা। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন তা নিয়ে দলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সামনেই হাতাহাতি। শহিদ স্মরণে নীরবতা পালনের  পর বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে এদিন একই জায়গায় দুটি আলাদা সভা করছে বিজেপি ও তৃণমূল। দুপুরে গোকুলনগরে পদযাত্রা করবেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল শাসকদলের। সেখানেই গণ্ডগোল। জানা যাচ্ছে, শহিদ মঞ্চে মালা দেওয়ার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কোন নেতা বক্তব্য রাখবেন এই নিয়েই গোলমাল বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় নেতারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা কথা শোনেননি। পরে কুণাল ঘোষ নিজেই কথা বলার আশ্বাস দেন। এর পর শহিদ স্মরণে নীরবতা পালনের পরই বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। 


আরও পড়ুন:চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়া পুলিশকর্মী তাঁর নবান্ন অভিযানেও ছিলেন, দাবি শুভেন্দুর