অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ফালাকাটায় (falakata) রাতভর তাণ্ডবের (ruckus) অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। স্বাধীনতা দিবসের (independence day) ঠিক আগের দিন তাণ্ডব চালায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের (BJP)। রবিবার গোটা রাত উত্তেজনায় কাটাল ফালাকাটা শহর। 


কী হয়েছিল?
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান ছিল সোমবার। তার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সব রাজনৈতিক দলই। হঠাৎ উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, গত রাতে ফালাকাটার আশুতোষ পল্লীর ২২৩ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি অমর গোপের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর গাড়ির কাচও ভেঙে ফেলা হয় বলে দাবি। খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা সেখানে যান। তখন ফের দুষ্কৃতী-হামলা চলে বলে অভিযোগ। এবার আক্রমণের মুখে পড়েন বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রশেখর সিনহার। এতেই শেষ হয়নি। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাঁকেও রাস্তায় আটকানো হয়। আক্রমণ চলে তাঁর উপর, জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পরে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু সেই শান্তি সাময়িক। কারণ পুলিশ পরে বিজেপির বুথ সভাপতিকেই ধরে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি রাতভর বিজেপি কার্যালয়ের সামনেও তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায় বলে শোনা যাচ্ছে। পাল্টা হামলার দাবি শোনা গিয়েছে তৃণমূলের মুখেও।


কী বলছে তৃণমূল?
তৃণমূলের টাউন সভাপতি শুভব্রত দে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবী, ফালাকাটা পুরসভার এক মহিলা কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করেন বিজেপির এক কর্মকর্তা। সঙ্গে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও আনা হয় তৃণমূলের তরফে। শুভব্রতর দাবি, থানায় এই নিয়ে অভিযোগ করে ফেরার সময় আক্রমণ শুরু করেন বিজেপির বুথ সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি-সহ কর্মীরা আশপাশের তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলেও খবর। এমনকী গোটা পর্বে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেও মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের টাউন সভাপতি। দু-পক্ষই ফালাকাটা থানায় একে অন্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রসঙ্গত, ১৩ অগাস্ট গভীর রাতে  জলপাইগুড়ির চালসায় ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটে। খবর ছড়াতেই পর দিন সকালে কার্যালয়ে আসেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেটেলি থানার পুলিশ, আসেন সদ্যঘোষিত তৃণমূলের মেটেলি ব্লক সভাপতি জোসেফ মুণ্ডাও। শোনা যায়, শনিবার গভীর রাতে কেউ বা কারা হামলা করেছিল। দাবি, পাথর দিয়ে কার্যালয়ের দুটি বড়ো কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে মেটেলি থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে সেটি দুষ্কৃতী-হামলা বলেই মনে করছিল পুলিশ। 


আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার সঙ্কটে সাহায্য ভারতের! আঞ্চলিক কূটনীতিতে কিছু বদলাল কি?