কলকাতা: অবশেষে কাটল জটবিধায়ক পদে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বালিগঞ্জ বিধানসভাকেন্দ্রে (Ballygunj Assembly) জয়ের ২৬ দিনের মাথায় শপথগ্রহণ করলেন তিনি। আর, শপথগ্রহণের দিনই দলবদল প্রসঙ্গে অস্বস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC)!


ডেপুটি স্পিকারকে অনুমোদন: ৬ এপ্রিল বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে (By-Election) জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। কে বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন? রাজ্যপাল? স্পিকার?  না কি ডেপুটি স্পিকার? এই নিয়ে জটিলতার কারণে, আটকে ছিল বাবুলের শপথগ্রহণ! বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে অনুমোদন দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু, স্পিকার থাকতে শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি ছিলেন না ডেপুটি স্পিকার।


সূত্রের খবর,  বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকে অনুরোধ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই রাজি হয়ে যান ডেপুটি স্পিকার। রাজ্যপালের অনুমোদন মতো, বুধবার বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিধানসভায় থাকলেও, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর, রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হন ডেপুটি স্পিকার। 


ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, যেটা আপনারা সকলেই জানেন, যে আমি, স্পিকার মহোদয় থাকতে এটা করতে চাইনি। কিন্তু, যে কোনও কারণে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় একটা বিভাজনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একটা পরিবারেরই সদস্য। সবমিলিয়ে বাবুলের শপথ গ্রহণ নিয়ে চরমে পৌঁছয় বাকযুদ্ধ।