কলকাতা: তৃণমূলের সভায় না যাওয়ায় দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কাউন্সিলরের লোকজন। এমনই অভিযোগ করলেন সল্টলেকের বৈশাখী বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকায় হয়রানির শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

তৃণমূলের সভায় না যাওয়ায় দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের কাউন্সিলরের লোকজনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে বিধাননগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি মিছিল ও সভা ছিল। হাজির ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা মণ্ডল। অভিযোগ, ওই সভায় বৈশাখী বাজারের যেসব ব্যবসায়ী যোগ দেননি, রবিবার তাদের দোকান বন্ধ করে দেয় কাউন্সিলরের দলবল। বাজারের এক ফল বিক্রেতা পাঁচু কুমার খটিক বলেন, "৪টের সময় মিটিং ছিল। আমাদের ২৮ জন যাইনি। যারা গিয়েছিল ওদের দোকান খোলা আছে। যারা যায়নি সেইজন্য বন্ধ আছে।  যেমন আমাদের প্রেসিডেন্ট আছে, প্রেসিডেন্টকে বলল, যে যে মিটিংয়ে যায়নি দোকান বন্ধ রাখ, যখন দিদি বলবে তখন খুলবে।'' বৈশাখী বাজার কমিটি সম্পাদক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, "যে ছেলেগুলো বন্ধ রেখেছে সেই ছেলেগুলো কাল এখানে একটা ঝামেলায় জড়িয়েছিল। সেই জন্য আমরা ওদেরকে বলেছি তোরা বন্ধ রাখিস। বাজারের মধ্যে কেন এসব করছিস? সেই কারণে হয়তো দুটো-তিনটে দোকান বন্ধ ছিল।'' সল্টলেকের AG, BG, BS-সহ একাধিক ব্লকের বাসিন্দারা এই বৈশাখী বাজারের উপর নির্ভরশীল। রবিবার ছুটির দিন ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। সেদিনই বাজারের অধিকাংশ দোকানের ঝাঁপ বন্ধ থাকায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ক্রেতাদের। এক বাসিন্দা কল্যাণ মল্লিক বলেন, "কাল নাকি মিটিং হয়েছে। এরা যায়নি, সেইজন্য এদেরকে বন্ধ করে দিয়েছে।bআলুওয়ালা বলল আমাকে। তৃণমূলের মিটিং ছিল, যারা যায়নি তাদের সব এসে বন্ধ করে দিয়ে গেছে। এবার বলুন না, ফল নেওয়ার আছে। কোথায় নেব ফল? পাব না। বাজার ঢুকতে হবে ফল নিতে।'' আরেক বাসিন্দা দুর্গাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এরা তো বলছে এখানকার স্থানীয় কাউন্সিলর যে আছে সে বলছে বন্ধ করে দিতে। এত অসুবিধা হচ্ছে। আমি যে কোথা থেকে নিই, সেটাই বুঝতে পারছি না।''কিন্তু এভাবে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়াটা কি গাজোয়ারি নয়? স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা মণ্ডল বলছেন, তিনি এরকম কোনও নির্দেশ দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। তাঁর দাবি, "যে আসার এসেছে। এটা নিয়ে কেউ বলেনি। এটা চক্রান্ত আমার বিরুদ্ধে। আমি ওদের নেশা করতে বারণ করি বলে।''