কলকাতা: কয়লা পাচার (coal scam) মামলায় বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (jitendra tiwari) সিআইডির (CID) তলব নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, অভিযোগ বিজেপির। সিবিআই-ইডিকে (CBI ED) বিজেপি ড্রয়িং রুম থেকে পরিচালনা করে, পাল্টা তৃণমূলের (TMC)। সমানে সমানে কোলাকুলি চলছে, কটাক্ষ সিপিএমের (CPM)।


বিজেপির দাবি...
দলীয় নেতাকে কয়লা পাচার মামলায় সিআইডির তলবের ঘটনায় বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, 'কোন তদন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন, কোন তদন্ত অসহিষ্ণুতার, কোনটা তদন্তের জন্য তদন্ত আর কোন তদন্ত তৃণমূল ছেড়ে আসার জন্য, এটা আসানসোলের বাসিন্দাদের বুঝিয়ে দিতে হবে না। জিতেন্দ্র তিওয়ারি এক জন অত্যন্ত পরিচিত রাজনীতিবিদ। তিনি তৃণমূলের অশুভ সময়েও পাশে ছিলেন। কিন্তু প্রত্য়েক ভোটারের যেমন অধিকার রয়েছে প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার, তেমনই প্রত্যেক ব্যক্তির, রাজনৈতিক কর্মীরও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করার অধিকার রয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি পরিবর্তন করেছেন। এখন মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি তার পাল্টা তলব করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা ভীত নই।' 


কটাক্ষ সিপিএমের...
বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, 'মোদীজির সরকার ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার সমানে সমানে কোলাকুলি করে চলেছে। ঝগড়া ঝগড়া ভাবও দেখালাম, বন্ধু বন্ধু ভাবও দেখালাম। সিবিআই মলয় ঘটককে দেখেছে, ঠিক করেছে। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডাকেনি কেন? মলয় ঘটক একটু বড় হতে পারেন, কিন্তু কয়লা পাচার কাণ্ডে দুজনেই যুক্ত।' সুজনের অভিযোগ, কালিঘাট পর্যন্ত দুজনেরই যোগাযোগ সুবিদিত। কিন্তু সিআইডি এখন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডাকছে কারণ তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। তাঁর মতে, 'যা পারো করো, যত ইচ্ছা লুঠ করো, আমার ভাগের ভাগটা দিয়ে দিও। তা হলে সিআইডি চুপ করে থাকবে।' একই মত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিয়েও। সঙ্গে বিদ্রুপ,'দুদলের কোলাকুলি ও গুঁতোগুঁতি চলছে।'


পাল্টা তৃণমূলের...
বিজেপি ও সিপিএম, দুজনকেই একহাত নিয়েছে তৃণমূল। দলীয় সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, 'গত কয়েক বছরে সারা দেশে ৫৭০ জন বিরোধী নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুলাই সমাবেশের পর ১০ জন তৃণমূল নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা প্রতিহিংসা পরায়ণতা নয়?' সিবিআই ও ইডির অপরাধ প্রমাণের হার যে সিআইডির থেকে কম সেটা দাবি করে শান্তনুর দাবি, সিআইডি নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে। স্বচ্ছ ভাবে দোষীদের সাব্যস্ত করে। একই সঙ্গে সিপিএমকে তাঁর কটাক্ষ, 'সারদা যখন তৈরি হয়েছিল তার জনক কে ছিল, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করুন। পাচারেও একের পর এক বামপন্থী নেতার নাম উঠে আসছে।' 
সব মিলিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির তলব ঘিরে তীব্র শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।


আরও পড়ুন:হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত পাকিস্তানের বিতর্কিত আম্পায়ার আসাদ রউফ