সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে নদিয়ার হাঁসখালিতে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী (TMC Winner Candidate) এক প্রার্থী-সহ যুব এক নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে (BJP Worker)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নদিয়ার হাঁসখালি থানার (Nadia Hanskhali Police Station) দক্ষিণ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলে পাড়ায় এলোপাথাড়ি কোপে জখম হন তৃণমূল প্রার্থী ও যুব তৃণমূল নেতা। হাঁসখালি থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সপরিবারে ফেরার অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের ৫ দিন আগে তৃণমূলে যোগ দেয়, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, অভিযুক্তের দলীয়-যোগ উড়িয়ে দাবি বিজেপির। 


অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা হাঁসখালি ব্লকের দক্ষিণ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেপাড়ায় স্থানীয় একটি মাঠে বসে আগামী ১০ আগস্ট পঞ্চায়েতের ভোট গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পুন্ডরি নামে বিজেপির এক কর্মী হঠাৎ করে ওই আলোচনা সভায় ঢুকে পড়েন। এবং সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) দল নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন। সেইসময় তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে বিশ্বজিৎ পুন্ডরি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ডেকে আনে। এরপর বচসা চরমে ওঠে।


সেই সময়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাজল মন্ডল নামে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সমর মন্ডলকে কোপ দেয় বলে অভিযোগ। আহত দু-জনকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতাল শক্তিনগরে। সেখান থেকে চিকিৎসা করিয়ে বর্তমানে বাড়ি ফিরে এসেছেন দুজনে। ঘটনা নিয়ে হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল মন্ডল। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ পুন্ডরি-সহ তার পরিবারের সকলেই পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ পুন্ডরিকে নিজেদের কর্মী বলে স্বীকার করতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বুথ সভাপতি সুনীল দাস বলেন, বিশ্বজিৎ বিশ্বজিৎ পুন্ডরি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছে। এটা সম্পূর্ণ ওদের নিজেদের বিষয়।


আরও পড়ুন, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট অনেকদিন হল শেষ হয়েছে। কিন্তু হিংসায় যবনিকা পড়েনি। জেলায় জেলায় এখনও অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসাকাণ্ডের পর দলীয় নিহত-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের শাসকদল এবং বিরোধীরাও। দিয়েছেন পাশের থাকার বার্তাও। হিংসা আক্রান্ত এলাকায় গিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল।পাশাপাশি রাজ্যে এসে দলীয় আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আর তারই পাল্টা প্রতিনিধি দল মণিপুরে পাঠিয়েছে তৃণমূল। তবে যাই হোক না কেন, ময়দানে পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ে শাসকদল ও বিরোধীরা। কিন্তু হিংসার গ্রাফে যবনিকা এখনও পড়েনি। তার অন্যতম জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ নদিয়া জেলা।