কলকাতা: গ্রেফতারির পর পরই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হলেন সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান। আগামী ছ'বছরের জন্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হলেন তিনি। দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। যদিও তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বছরের পর বছর সন্দেশখালিতে তিনি অত্যাচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। নারী নির্যাতন, জমি জবরদখল-সহ অভিযোগের পাহাড় জমেছে তাঁকে ঘিরে। এত দিন পর কেন হুঁশ ফিরল তৃণমূলের, উঠছে প্রশ্ন। (Sheikh Shahjahan)


শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনিই শাহজানকে সাসপেন্ড করার কথা জানান। ডেরেক বলেন, "শেখ শাহজাহানকে দল থেকে ছ'বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। দেশে দুই ধরনের রাজনৈতিক দল রয়েছে, এক ধরনের দল শুধু বড় বড় বুলি আউড়ে যায়। তৃণমূল কাজে করে দেখায়।" (Sheikh Shahjahan Suspended)



৫৬ দিনের মাথায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। আপাতত ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালির 'ত্রাস' শাহজাহানকে। মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে হল শাহজাহানকে। 


আরও পড়ুন: Sheikh Shahjahan: ‘কোনও সমবেদনা নেই আমার’, শাহজাহানের আইনজীবীকে বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি


সন্দেশখালিতে মাত্র ৩০ কিমি দূরত্ব মিনাখাঁর। সেখানে এতদিন কী করে লুকিয়ে থাকলেন শাহজাহান, উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে গ্রেফতার করতে কেন ৫৬ দিন লেগে গেল, উঠছে এই প্রশ্ন। এক্ষেত্রে যদিও আইনি বাধার যুক্তি দিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। রাজ্য পুলিশের পাল্টা প্রশ্ন, তদন্তে বাধা ছিল না যেখানে, ED কী করছিল এতদিন? 


শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির জায়গায় জায়গায় এই মুহূর্তে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে শাহজাহানের গ্রেফতারিতে অকাল দোল পালিত হচ্ছে সন্দেশখালিতে। উৎসবের মেজাজে স্থানীয়রা, চলছে আবিরখেলা, মিষ্টিমুখ। 


গত ৫ জানুয়ারি ইডি, সিআরপিএফের ওপর হামলার পর থেকেই তাঁর হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না শাহজাহানের। এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি? তা নিয়ে নানা দাবি শোনা গেছে বিরোধীদের মুখে। শাহজাহান কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না, তা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলিও চলেছে। এতদিন পর অবশেষে জালে পড়লেন তিনি।