নয়াদিল্লি: প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস '৯৩-এ  ট্রেনে বিস্ফোরণ হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডার (Abdul Karin Tunda Acquitted)। ১৯৯৩ (1993  Train Bomb Blast) সালে চারটি ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল, জখম হন আরও অনেকে। সেই মামলাতেই লস্কর-ই-তৈবার বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত টুন্ডাকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিল রাজস্থানের এক আদালত।


বিশদ...
রাজস্থানের বিশেষ আদালত প্রমাণের অভাবে টুন্ডাকে মুক্তি দিলেও অন্য দুই অভিযুক্ত, আমিনুদ্দিন এবং ইরফানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। লস্করের বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত টুন্ডা আপাতত ১৯৯৬-র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জেল খাটছে। আরও একাধিক বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আবদুল করিম টুন্ডার বিরুদ্ধে। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অশীতিপর টুন্ডা তার বোমা তৈরির দক্ষতার জন্য লস্করের মধ্যে 'ডক্টর বম্ব' বলে পরিচিত।  


ফিরে দেখা...
১৯৯৩ সালের যে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকে বেকসুর মুক্তি দিল রাজস্থানের আদালত, তাতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। কোটা, কানপুর, সেকেন্দারাবাদ এবং সুরাত দিয়ে যখন ট্রেনগুলি যাচ্ছিল, তখনই তাতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। মুম্বই-বিস্ফোরণের কয়েক মাস পরের ওই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। যে দিন ঘটনাটি ঘটে, সেটি ছিল বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রথম বর্ষপূর্তি। দূরবর্তী শহরগুলিতে এমন ঘটনার সবকটি মামলা একত্র করে রাজস্থানের বিশেষ আদালতে শুনানি হয়েছিল। TADA আইনের আওতায় তিন জনের শুনানি হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই এগুলির তদন্তের দায়িত্বে থাকে। তবে এদিনের রায়ের পর সূত্রের খবর, সিবিআই সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। 
সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত হওয়ার আগে কাঠের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত টুন্ডা। বয়স যখন চল্লিশের ঘরে, তখন নাশকতার সঙ্গে জড়িয়ে যায় সে। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের 'সিরিয়াল ব্লাস্ট'-র পর নাম শোনা গিয়েছিল টুন্ডার। শোনা যায়, বোমা বানাতে গিয়ে বাঁ হাত উড়ে যায় তার। লস্কর-ই-তৈবা ছাড়াও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং বব্বর খালসার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছে সে। ২০১৩ সালে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া উত্তরাখন্ডের বনবাসা থেকে  তাকে গ্রেফতার করা হয়। চার বছর বাদে, হরিয়ানার একটি কোর্ট, ১৯৯৬ সালের একটি বিস্ফোরণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় টুন্ডাকে। সেই বছর, কয়েক মাস পর একই দিনে একাধিক ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকে মুক্তি দিল অজমেঢ়ের আদালত।


আরও পড়ুন:প্রায় ৭ লক্ষ নির্বাচনী বন্ড ছাপাতে কয়েক কোটি খরচ, রাজনৈতিক দল নয়, করদাতাদের টাকাতেই সব