পূর্ব মেদিনীপুর: পুজোর মধ্যেই ঘর ভাঙচুর, একে অন্যের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। হলদিয়ায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল (TMC Clash)। থানায় FIR দায়ের করেছে দু-পক্ষ। 'দোষীরা শাস্তি পাবে', বললেন কুণাল ঘোষ। পুজোর আবহেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Clash) প্রকাশ্যে এল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। এমনকী দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগও উঠেছে।


ফের প্রকাশ্যে TMC-র গোষ্ঠী কোন্দল


স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর, গত জানুয়ারিতে হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচকে বিদ্যুৎ আসে। এবার সেখানেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি শেখ আলম। এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের গোষ্ঠীর। দলের ওয়ার্ড সভাপতির অভিযোগ, সহ সভাপতির এক অনুগামী, রাস্তা দখল করে বাড়ির সামনে বেড়া দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। 


পুজোর আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল


পুজোর আগে শোভাবাজারেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল (TMC Inner Clash)। ১৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনেই হয়েছিল হাতাহাতি। মারামারিতে জড়িয়েছিলেন শশী পাঁজা ও স্থানীয় কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের অনুগামীরা। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন বিধায়ক অনুগামীরা। পাল্টা কাউন্সিলর অনুগামীদের অভিযোগ ছিল, এলাকায় পুরনো বাড়ি দখল করে প্রোমোটিং করতে চায় বিধায়কের (TMC MLA) লোকজন। বাধা দেওয়ায় কাউন্সিলর অনুগামীদের মারধর ও ক্লাব ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।


সেবারও দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল বড়তলা থানায়


শাসকদলের লোক হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ (Police) তাঁদের কথা শুনছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন কাউন্সিলর অনুগামীরা। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বড়তলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি জানিয়েছিলেন, এলাকায় বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, পুলিশ নিষ্ক্রিয়। সুনন্দা সরকার বলেছিলেন,' বাজে কথা বলছে কয়েকজন। এলাকা যাতে শান্ত থাকে, বরাবরই সেই চেষ্টা করি। বাইরের কয়েকজন এসে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।'


আরও পড়ুন, ধৃত মন্ত্রী 'ঘনিষ্ঠ' ব্যবসায়ীর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ED 


সেসময় স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, শশী পাঁজার সঙ্গে সুনন্দা সরকারের মতানৈক্য় আজকের নয়। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন মন্ত্রীর। পাল্টা কাউন্সিলর-অনুগামীদের অভিযোগ ছিল, এলাকার পুরনো বাড়ি দখল করে প্রোমোটিং করতে চান মন্ত্রীর অনুগামীরা। অভিযোগ প্রোমোটিংয়ে বাধা দিতে গেলে কাউন্সিলরের অনুগামীদের মারধর এবং স্থানীয় ক্লাবে ভাঙচুর করেছিলেন শশী পাঁজার অনুগামীরা।