রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন ঘোষণা হতেই আরও স্পষ্ট শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Infighting), জল্পনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তি ব্লকে। অভিযোগ, প্রার্থীতালিকা ঠিক না হতেই টিকিট বিলি করছেন তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় । তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলে সমর্থকদের একাংশ ও তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহবুব আলম। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্রান্তি ব্লকে। 


কী ঘটল?
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন যোগ্য প্রার্থীদের পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রান্তি ব্লকের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর গাড়ি আটকে তাই বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের চ্যাংমারি এলাকার কর্মীরা। সঙ্গে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহবুব আলমের অভিযোগ, মহাদেব রায় বৈষম্যের রাজনীতি করছেন। তাঁর আরও দাবি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড যেখানে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন যোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ব্রাত্য রেখে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দিচ্ছেন বলে। এতেই শেষ নয়। দলের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সব করছেন মহাদেব রায়, আরও অভিযোগ মেহবুব আলমের। তাঁর মতে, বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এটা করছেন। আখেরে তাতে দলের ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাঁর আশঙ্কা, দ্রুত এ সব বন্ধ না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে। যদিও মহাদেব রায়ের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, টিকিট দেওয়ার বিষয়ে তার কোনও হাত নেই। নির্বাচনে দল কাকে টিকিট দেবে সেটা ঠিক  করার মালিক তিনি নন। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব  এটা ঠিক করে থাকেন। সঙ্গে বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি, সংবাদমাধ্যমের কাছে খোলাখুলি এসব কিছু যে বা যাঁরা বলেছেন, তাঁরা আসলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন। এভাবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে  প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনায় অস্বস্তিতে  দলের সাধারণ কর্মীরা।


নদীয়ায় অশান্তি...
চলতি মাসের গোড়ার দিকে নদীয়ার কল্যাণীতেও প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীকোন্দল' (Infighting)। প্রাথমিক ভাবে শোনা যায়, সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতির সঙ্গে সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদের জেরে মারামারি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজির ঘটনা ঘটে কাঁটাবেলে এলাকায়। তাতে দুই তরফের সব মিলিয়ে ১০ জন জখম হন।


আরও পড়ুন:শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম