নয়া দিল্লি: আজ সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু। SIR প্রক্রিয়া চলাকালিন দেশের রাজনীতি উত্তাল। এই আবহেই, সোমবার, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে, বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ড্রামা অর্থাৎ নাটক করার জায়গা নয় সংসদ। পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস-ও।                                     

Continues below advertisement

এদিকে, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যতদিন নরেন্দ্র মোদি থাকবেন, ততদিন বিজেপি থাকবে। নরেন্দ্র মোদি না থাকলে বিজেপিও থাকবে না, ক্ষমতা থেকেই চলে যাবে। ২০১৪ এর আগে ভেবেছিলে কেউ যে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসবেন, এত দিন থাকবেন? ওই সময় তো সবাই ছিলেন। রাজনাথ সিংহ ছিলেন, অমিত শাহ ছিলেন, নিতিন গডকড়ী ছিলেন। সবাই ছিলেন। তাঁরা তো (ক্ষমতায়) আনতে পারেননি। মোদি চলে গেলেই কোথাও আর পদ্মফুল ফুটবে না। কিন্তু যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে, কেউ কিছু বদলাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যার উপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' 

রাজনৈতিক কৌশল অনেকটা হিমশৈলের মতো। যতটা ওপরে দেখা যায়, তার থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি নিচে থাকে, যা চোখে পড়ে না! বিধানসভার যুদ্ধে নতুন কী কৌশল দেখা যায়, সেটাই এখন দেখার।                                    

Continues below advertisement

বেশ কিছু মাস আগে সাংসদদের জন্য নবনির্মিত আবাসনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেছিলেন।  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে স্মিত হাসেন মোদি। সব কিছু ঠিক আছে কিনা কল্যাণের থেকে খোঁজখবর নেন। প্রত্যুত্তরে কল্যাণও সব কিছু কুশল বলে জানান। জানা গিয়েছে, এদিন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পাশে আসতে বলেছিলেন। যদিও জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাসেন। 

সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হয়। তৃণমূল সাংসদের আঙুল কেমন আছে? সেই খোঁজ নিয়েছিলেন মোদি। পালটা ‘সৌজন্য’ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শরীরের খোঁজখবর নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদও।