উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: SIR-এর সময়সীমা সাত দিন বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। SIR-এর সময়সীমা বৃদ্ধির পরেও ধর্না। ২ বছরের প্রজেক্ট কীভাবে এক মাস সাত দিনে শেষ? ছেলে ভোলানো। কটাক্ষ তৃণমূলপন্থী বিএলওদের।
সোমবার সিইও দফতরের সামনে ফের বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলপন্থী বিএলওরা। শুভেন্দু অধিকারী সিইও দফতরের প্রবেশ করার সময় উত্তেজনাও ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ব্যারিকেড ভাঙা নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। ভুয়ো নামের অভিযোগ শুভেন্দুর।
২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর তিনদিনে সোয়া এক কোটি ভুয়ো নাম ঢুকেছে তালিকায়, অভিযোগ শুভেন্দুর। ভুল হয়েছে, মানছেন বিক্ষোভ দেখাতে আসা তৃণমূলপন্থী BLO। এবিপি আনন্দকে এক তৃণমূলপন্থী বিএলও বলেন, 'শেষ তিন দিনে আমার কত এন্ট্রি হয়েছে তা দেখে নিতে হবে। তবে যাই-ই করি না কেন প্রচুর ভুল হচ্ছে। এই যে ভুলগুলো। এগুলোকে তো রোল ব্যাক করিয়ে কারেকশন করতে হবে। ভুয়ো নাম উঠেছে কি না বলতে পারছি না। কিন্তু প্রচুর ভুল আছে। এটা হবেই কারণ আমরা এত তাড়াহুড়ো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের কাজে প্রচুর ভুল আছে। ভুলগুলোকে রোলব্যাক করতে হবে, তারপর কারেকশন হবে। ভুয়ো নাম তুলিনি। আমাদের পার্টের যারা ভোটার তাঁদের সবাইকে আমি চিনি। আমার ৯০ শতাংশ কাজ হয়েছে, কিন্তু ৩০ শতাংশ ভুল থাকতে পারে।'
এদিকে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সরকার ও আইপ্যাক ডেটা এন্ট্রিতে বেনিয়ম করছে। সিইও দফতরে ঢুকতে কেন বাধা দেওয়া এটাই প্রমাণ করে যে সিইও অফিস নিরাপদ নয়'।
অন্যদিকে, 'কিছু কিছু ওয়ার রুমে ভোট কাটানোর জন্য ভুল ম্যাপিং হচ্ছে, এন্ট্রির সময় ভুল ম্যাপিং হচ্ছে। ভুল ম্যাপিংয়ের জন্য বৈধ ভোটারের ২০০২ সালে নাম নেই, তাঁকে ফের বৈধ ভোটার হিসাবে প্রমাণ করতে হবে। ভুল ম্যাপিংয়ের জন্য ব্লকের পর ব্লক উধাও হয়ে গেছে', বিস্ফোরক অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের। 'জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখন জাদুকর করেছে, বাড়ি সমেত ভ্যানিশ করে দিচ্ছে', আক্রমণ ফিরহাদ হাকিমের। 'কোথাও কোথাও ৬টি বাড়ি উধাও হয়ে গেছে', আক্রমণ ফিরহাদ হাকিমের।