কলকাতা : রাজ্য রাজনীতির ময়দানে যুযুধান দু-পক্ষ। বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও দেখা যায় মাঝেমধ্যে। তবে এবার রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রোমোশনের জন্য অন্যের তদ্বির করলেন অন্যজন। একজন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অপর জন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রোজ তৃণমূলকে আক্রমণ থেকে ভোটে জয়, সবেতেই তো সাফল্য, তাই দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রোমোশন পাওয়া উচিত, এমনটাই মনে করেন কুণাল ঘোষ।
নড্ডাকে কটাক্ষ, দিলীপকে খোঁচা
দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP President of India) দেখতে চান কুণাল ঘোষ! যদিও রাজনৈতিক প্রোমোশনের জন্য মুখ খুললেও দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা। কুণাল ঘোষ বলেছেন 'জেপি নাড্ডা নিজের রাজ্যেও ভোটে হেরেছেন, উনি কেন ফের সভাপতি হবেন? দিলীপ ঘোষ ভোটেও জিতেছেন, আবার নিয়মিত তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন, মমতাদির (Mamata Banjerjee) তৈরি ইকো পার্কে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ', সর্বভারতীয় সহ সভাপতি থেকে তো প্রোমোশন পাওয়া উচিত দিলীপ ঘোষের, মন্তব্য কুণাল ঘোষের। ২০২৪-এর রোডম্যাপ তৈরির জন্য দিল্লিতে যখন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক চলছে, ঠিক সেই সময়, সভাপতি জল্পনা ভাসিয়ে দিল তৃণমূল। যে বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মতো বঙ্গ বিজেপির নেতারা। যদিও বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে জেপি নাড্ডার (JP Nadda) মেয়াদ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
দিলীপের রাজনৈতিক কেরিয়ার
আরএসএসের প্রচারকের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। এরপর দু-দফায় সামলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব। তাঁর সভাপতিত্বেই লোকসভা ভোটে ২ থেকে ১৮ এবং বঙ্গ বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭-এ পৌঁছয় বিজেপি। ২০১৬-তে খড়গপুর সদরের বিধায়ক নির্বাচিত হন দিলীপ। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্রটি তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে দিলীপ ঘোষকে বিজেপির রাজ্য় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়। এবার তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি করার দাবি তুলল তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য় এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।