কৃষ্ণেন্দু অধিকারী এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) সঙ্গে নিয়ে বেকবাগানের একটি বাড়িতে ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করলেন ব্রাত্য বসু। তারপরই, কুণাল ঘোষের বক্তব্যে মিলল ক্ষোভ প্রশমনের ইঙ্গিত। তিনি বলেন, ক্ষোভ-অভিমানের বিষয় নয়। আলোচনা হয়েছে, তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।
সকালে দুঃখের গান, বিকেলে বদলে গেল আনন্দে। ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল ঘোষ গান ধরলেন, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে…’ গান বদলের মতই কী কুণাল ঘোষের মনও বদল হল?
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই সব পদ আমার কাছে গৌন, আমার হচ্ছে ভালবাসা, আস্থা এবং অধিকার। আমি একজন কর্মী, আমি যদি সসম্মানে কাজ করতে পারি, তাহলে আমি খুশি। মমতাদি আমার নেত্রী, অভিষেক আমার সেনাপতি, তাঁরা আমায় পদ দিলেও, আমি সসম্মানে গ্রহণ করেছি, তাঁরা আমায় পদচ্যুত করলেও, আমি ধরে নিয়েছি এটা নেতৃত্ব থেকে এসেছে মানে, আমার কাছে এটা সম্মানের এবং উপহার।'
তবে কি গলল কুণাল-তৃণমূল সম্পর্কের বরফ? ৭২ ঘণ্টা পর, ব্রাত্য বসুর মধ্যস্থতায়, ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে কুণাল ঘোষের বৈঠকের পর তেমনই ইঙ্গিত মিলল।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার-মিছিলে না থেকে, প্রায় একই সময়ে, উত্তর কলকাতারই ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরে, বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। প্রার্থী হিসাবে ব্যক্তিগতভাবে তাপস দাকে আমি কোথাও জনপ্রতিনিধি হিসাবে এক ইঞ্চি পিছনে রাখতে পারব না।
আরও পড়ুন, 'প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বর বিকৃত করা হয়েছে, CBI তদন্ত চাইব', ভিডিওকে ভুয়ো দাবি সন্দেশখালির BJP নেতার
এরপরই, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এই চিঠির নিচে সই ছিল ডেরেক ও ব্রায়েনের। এরপরই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।
বুধবার, এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ সরাসরিই বলেন, তাঁকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তে রয়েছে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সম্মতি।
তৃণমূলের সঙ্গে কুণাল ঘোষের মন-কষাকষি কি তা আপাতত কাটল? নাকি ভবিষ্যতে তা অন্যদিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে