প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling case) ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডি-র (Enforcement Directorate) তলব। ২৯ মার্চ দিল্লিতে ফের অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ।


‘সোমবার জিজ্ঞাসাবাদে সব প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তাই ফের অভিষেককে দিল্লিতে তলব’, খবর ইডি সূত্রে।


সোমবার অভিষেককে সাড়ে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ


কয়লাকাণ্ডের তদন্তে সোমবার সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে কয়েকটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তথ্য মিলেছে। সে বিষয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি এই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে কিছু জানেন না। 


অভিষেক বলেন, ‘আমি আজ থেকে দেড় বছর আগে যখন তদন্ত শুরু করেছিল, তখন যা বলেছিলাম, আজও বক্তব্যে অনড়। বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে দশ পয়সার অভিযোগ প্রমাণ করলে, ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করবেন, মৃত্যুবরণ করব। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিলাম। সেপ্টেম্বরে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আজও সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করেছেন। কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। কিছু কাগজপত্র তাঁরা চান। আগেরবার চেয়েছিলেন জমা করেছি। ব্যাঙ্ক থেকে কালেক্ট করে পাঠিয়ে দেব।’


নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ অভিষেকের


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে, তাদের কতবার ডাকছে? যাদের বিরুদ্ধে সারদার কর্ণধার লিখিত অভিযোগ করেছে, যাদের কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গেছে, তাদের কতবার ডেকেছে? চুরিও করছে আবার করদাতাদের টাকায় নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছে। বিরোধী দলনেতা বলছে একে ডাকবে, তারপরই তাকে সিবিআই ডাকছে। বিরোধী দলনেতা বলছে ফোনের রেকর্ড আছে, পরদিন পেগাসাস বেরোচ্ছে।’


অভিষেককে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির


সোমবার ইডি যখন দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তখন তার আঁচ এসে পড়েছে বাংলার রাজনীতিতেও। অভিষেককে কটাক্ষ করে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘মাথা উঁচু করে জেলে যান। যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতি। সব কিছুতে যাদের নাম জড়িয়েছে, তাদের মুখে বড় বড় কথা সাজে না। আগে গিয়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আসুন।’


পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘এটা প্রতিহিংসা। বিজেপি হেরেছে বলে কুৎসা করছে। সিবিআইয়ের এফআইআরে শুভেন্দুর নাম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের ক্ষেত্রে এজেন্সি তৎপর। বিজেপি জানে বাংলায় কিছু করতে পারবে না। এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি। তৃণমূল বিজেপিকে প্রতিহত করেছে বলে বিজেপির এত রাগ।’


সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী আবার তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘যাহা ইডি, তাহাই সিবিআই। প্রকৃত অপরাধীরা আড়াল হয়ে যাচ্ছে। যার বিরুদ্ধে কয়লা চুরির অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বিনয় মিশ্রকে কী করে পদ দেওয়া হল?’