কলকাতা : SIR-কে কেন্দ্র করে তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। গতকাল ঘোষণার পর আজ থেকেই বাংলায় শুরু এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়। এই আবহে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'ওয়ার্নিং' দিয়ে বললেন, "যেখানে যাবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব।"
অভিষেকের কথায়, "সাংসদ হিসাবে, জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আমি এদের ওয়ার্নিং দিয়ে যাব, আজ নয় কাল, সরকার কিন্তু বদলাবে জ্ঞানেশবাবু। দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না। দেশের সংবিধানটা থাকবে। অমিত শাহ থাকবেন না, দেশের সংবিধানটা থাকবে। যেখানে যাবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে আপনারা বদ্ধপরিকর। কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য নয়। আপনার অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমি পুরোটা বলতে চাই না। সময়মতো সব মানুষের কাছে উপস্থাপিত করব।"
তিনি বলেন, "আপনি দুই বছর ধরে এসআইআর করেছেন ২০০২ সালে। আপনার হাতে কী জাদুকাঠি এসেছে যে আপনি দুই বছরের কাজ দুই মাসে করে দিচ্ছেন ? আমি কৌতূহলবশত জানতে চাইছি। কী জাদুকাঠি আছে আপনার হাতে, যে আপনি দু'বছরের কাজ দু'মাসে করে দিচ্ছেন ? কেন্দ্রীয় সরকারের যদি এত বড় মেকলানিজম বা জাদুকাঠি থাকে, তাহলে বাংলার চার বছরের বকেয়া পাওনা তো একদিনে ছেড়ে দেওয়া উচিত। মানুষের কথা ভেবে। তা তো ছাড়ছেন না। বিজেপির সহকারী সংস্থা হিসাবে যেভাবে আপনারা তাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন, সাংসদ হিসাবে, জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আমি এদের ওয়ার্নিং দিয়ে যাব, আজ নয় কাল, সরকার কিন্তু বদলাবে জ্ঞানেশবাবু।" TMC Leader Abhishek Banerjee on SIR Issue
পশ্চিমবঙ্গে শেষবার SIR হয়েছিল ২০০২ সালে। তাই সেই বছরের ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই এরাজ্য়ে SIR প্রক্রিয়া এগোবে। ইতিমধ্য়ে পশ্চিমবঙ্গের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ২০০২ সালের তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের এবার আর কোনও নথি দিতে হবে না। ২০০২ সালের তালিকায় মা-বাবার নাম থাকলেও আর কোনও নথি লাগবে না। শুধু কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে গিয়ে 'ম্য়াচিং' প্রক্রিয়া করে নিতে হবে। যা ভোটাররা নিজেরাই করে নিতে পারবেন।
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নিজেদের বা মা-বাবার নাম নেই, তাঁদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে।