কলকাতা: ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে দ্বিতীয়বার!১০ অক্টোবর - সুজিত বসুর অফিসে হানা, ২৮ অক্টোবর - ৬ জায়গায় তল্লাশি। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের কলকাতায় অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।মঙ্গলবার মোট ৬ জায়গায় চলল তল্লাশি।
বারবার ডেকে সাড়া না পেয়ে, তালা ভাঙার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা
বেলেঘাটায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে, বারবার ডেকে সাড়া না পেয়ে, তালা ভাঙার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির তরফ থেকে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল পুর নিয়োগ দুর্নীতির কেসে। সেই তদন্তে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল, এবং তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে যা উদ্ধার করেছিল, সেই সূত্র ধরে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণকে সামনে রেখে কোথায় কোথায় টাকা গিয়েছে, এবং কোন কোন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছে, সেই বিষয়গুলো জানার জন্যই এই তল্লাশি অভিযানের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর রেস্তোরাঁ, তাঁর সল্টলেকের অফিস-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ১০ অক্টোবর, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর রেস্তোরাঁ, তাঁর সল্টলেকের অফিস, তাঁর ছেলে সমুদ্র বসুর রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জ-বার-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ED অফিসাররা। আর মঙ্গলবার সকালে বেলেঘাটার ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোডের এই বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। এখানেই থাকেন ব্যবসায়ী দুই ভাই বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং রণজিৎ চৌধুরী। ED-র অফিসাররা সেখানে পৌঁছতেই তৈরি হয় এক নাটকীয় পরিস্থিতি।
ED-র অফিসাররা সেখানে পৌঁছতেই তৈরি হয় এক নাটকীয় পরিস্থিতি!
বাড়ির মেন গেট ভিতর থেকে তালাবন্ধ ছিল।বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেন ED অফিসাররা।কারও সাড়া না পেয়ে প্রথমে পাথর দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা।কিন্তু, পরে জানতে পারেন পাশেই রয়েছেন ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। এরপর তাঁকে ডেকে এনে তালা খোলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা।
ফ্ল্যাটেও হানা
বেলেঘাটার হেমচন্দ্র নস্কর রোডের এই যে বাড়ি, ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোড, এই বাড়িতে দুই ভাই থাকেন এবং মূলত যেটা জানা যাচ্ছে ইডি সূত্র থেকে এখানে রণজিৎ চৌধুরী নামে যিনি থাকেন, তার কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা আছে। ব্যবসায়ীদের বাড়ির পাশাপাশি, কাছেই তাঁদের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ED।