কলকাতা:  বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর সম্প্রতি উপনির্বাচনেও জয় লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটায় জিতেছে ঘাসফুল শিবির। যদিও বিরোধী বিজেপির দাবি, সবটাই ছাপ্পা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। সামনেই পুরভোট। এই ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘জোর করে ভোটদানে বাধা দিলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’


উল্লেখ্য, পুরভোটের আগে স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ১৪৪ জন প্রার্থী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন টিকিট না পাওয়া নেতারা। পুরসভা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখে পুরভোটের প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দলগতভাবে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের তরফে।


সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা,  প্রয়োজন হলে মানুষের কাছে বারেবারে যেতে হবে। কিন্তু কোনওরকম গা-জোয়ারি বরদাস্ত হবে না।নিজেকে দলের ঊর্ধ্বে ভাবলে খেসারত দিতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবাধ ও সচ্ছ্ব ভোটদান নিশ্চিত করতে বলেছেন।


এদিন বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়েছেন, তাঁরা অন্যায় করেছেন। মনে রাখতে হবে, সবার উপরে দল। ভোটদানে বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলেও বৈঠকের পর দাবি করেন ফিরহাদ।


উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগে বিলকান্দা এলাকায় খড়দার সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সম্বর্ধনা সভা ছিল। সেই সভা থেকেই দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূলের প্রবীন নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, "জোর করে ভোট করানো যাবে না। ছাপ্পা ভোটে মদত দিলে জেলে যেতে হবে।" এমনকী সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। দলের বর্ষীয়ান নেতা বলেছিলেন, "দলের মধ্যে মারামারি করলে, বহিষ্কার করা হবে।" পাশাপাশি, একে অন্যের সভায় যোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠলে রেয়াত করা হবে বলেও দলের বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দেন সৌগত রায়। এদিকে, তৃণমূল নেতার মন্তব্যর পাল্টা কটাক্ষ করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, তিনি বলেন, তৃণমূলে কেউ কারও কথা শোনে না। সৌগত রায়ের কথাই বা কে শুনবে।