কলকাতা : আক্রমণ ছিলই, এসআইআর শুরু হতেই সেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ল কয়েক গুণ। সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেন, "আমি আগেও যা বলেছি, আমি আজও তাই বলছি। একটা মানুষের যদি নাম বাদ যায়, একটা বৈধ ভোটারের যদি নাম বাদ যায়, বাংলা থেকে এক লক্ষ লোক গিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবে। ক্ষমতা থাকলে অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ আটকে দেখাক।"
পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। অভিষেককে একহাত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চিটিংবাজ একটা। উনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস, MGNREGA-এ নিয়ে... রাজঘাটে ছুটছিলেন দেখেননি জুতো খুলে...শান্তনু সেন ছুটছেন, সুজিত বসু ছুটছেন...খালি পায়ে ছুটছেন। ওঁদের দিল্লি যেতে বলবেন, খালি পায়ে যেতে হবে। দিল্লি পুলিশের লাঠির সাইজ ৬ ফুট। একবার রাজঘাটে গিয়েছিলেন, ছুটে পালিয়েছেন জুতো খুলে। এবার বলবেন জুতোগুলো কলকাতা রেখে খালি পায়ে যেতে।"
SIR ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত রাজ্য় রাজনীতি । কেউ দাবি করেছেন SIR করতে দেবেন না । কেউ বলেছেন, এসআইআর ছাড়া ভোটই হবে না । অবশেষে শুরু সেই SIR। SIR নিয়ে শুরু থেকেই চড়া সুর ছিল তৃণমূলের। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় থেকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মমতা বলেছিলেন, "বিহারে ৪০ লক্ষের বেশি নাম বাদ দিয়েছে। বাংলাতেও করতে চলেছে। করলে ঘেরাও কর্মসূচি করব। পুরো ঘেরাও হবে।" একই সুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও বলে রেখেছিলেন, "বাংলা থেকে যদি এরা একটা মানুষেরও মৌলিক অধিকার কাড়তে চায় বা জোর জবরদস্তি, গা জোয়ারি করে একটা মানুষের নামও বাদ দেয় তাহলে ১ লক্ষ বঙ্গবাসীকে নিয়ে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করে আমরা বাংলার ক্ষমতা কী যাতে এই আন্দোলন সর্বাত্মক হয়, আমরা তার প্রমাণ এবং বাংলার ক্ষমতা তাদেরকে বুঝিয়ে দেব।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, চৌঠা নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া এবং ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ শুরু করবেন বুথ লেভেল অফিসার বা BLO-রা।
এই প্রক্রিয়াটি চলবে এক মাস। এখানেই প্রশ্ন, এক মাসের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব ভোটার যাচাই করা কি সম্ভব হবে ? তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ চলে যায়, সেক্ষেত্রে তার দায় কে নেবে ?