ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কাজল শেখই কার্যত জেলার মুখ্যমন্ত্রী, কাজল শেখ অনুগামী আলম শেখের এই মন্তব্যেই চাঞ্চল্য। 


শনিবার বীরভূম সফর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগেই নানুরের তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। নানুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য আলম শেখ বলেন, 'কাজল শেখকে বীরভূমের মুখ্যমন্ত্রী বলা ভুল হবে না। যাঁদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটি তৈরি করেছেন, তাঁরা মূর্খ'। 


প্রসঙ্গত, নতুন করে যে কোর কমিটি গঠন হয়েছে বীরভূমে, সেখানে ঠাঁই হয়নি কাজলের। এর আগে কাজলের অনুগামীরা ‘জেলার মুখ্যমন্ত্রী কাজল শেখ’ বলায় ধমক খেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই। এর আগে নাম না করে মমতা বলেছিলেন, “কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছে সে নাকি জেলার মুখ্যমন্ত্রী। কীসের জেলার মুখ্যমন্ত্রী?” পরবর্তীতে তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দেন কাজল শেখকে।


অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়ার পর থেকেই যেন বীরভূমের তৃণমূলের সংগঠন টালমাটাল হয়ে যায়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বীরভূমের জেলা সভাধিপতির পদে বসেন একদা অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখ। তারপরেই কার্যত জেলাজুড়ে কোন ঠাসা হয়ে যায় অনুব্রত অনুরাগীরাও। 


তবে আলম শেখের এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরেই তুলকালাম শুরু হয়েছে। যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্য়েই তৃণমূল নেতার এই বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। অনুগামীর মন্তব্য়ের দায় তাঁর নয় বলে জানিয়েছেন কাজল শেখ। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে।                                                                   


লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রতর জেলায় শাসকদলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, জেলে থেকেও জেলায় আছেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভার আগে শান্তিনিকেতনে অনুব্রতর বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। 


আরও পড়ুন, 'এমন কিউট, এমন সুইট প্রধানমন্ত্রী...' মোদির জন্য বিশেষ বিশেষ বিশেষণ মমতার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে