সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : দিদির দূত (Didir Dut) কর্মসূচিতে কদম্বগাছিতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kalkali Ghosh Dastidar)। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যদের 'গণইস্তফা'। কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগে প্রধান-সহ ২৩ পঞ্চায়েত সদস্যের 'ইস্তফা'। দলীয় কর্মীদের বাদ দিয়ে আইএসএফ কর্মীদের (ISF Workers) সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ। 'কারা ইস্তফা দিয়েছেন জানি না, কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি। পঞ্চায়েতে অন্য বৈঠক ছিল', তাই যাইনি, দাবি কাকলির। 


দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে, দিদির দূত হিসেবে গিয়ে এতদিন গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের (TMC) বিভিন্ন জন প্রতিনিধিরা। তার থেকে বাদ পড়েননি কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। মঙ্গলবার একেবারে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বারাসাতের সাংসদ (Barasat MP)। এবার আর নিছক গ্রামবাসীরা নন, দলেরই কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলের সাংসদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে, প্রধান-সহ ২৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগপত্রও পাঠালেন। এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) কদম্বগাছিতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের না ডেকে ISF-এর কর্মীদের ডেকে কর্মসূচি করেছেন সাংসদ। যদিও এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কাকলি ঘোষ দস্তিদার দাবি করেছেন, কোনও বিক্ষোভ হয়নি। কদম্বগাছি পঞ্চায়েত প্রধান ও ২২ জন তৃণমূল সদস্যের পদত্যাগের বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।


এরপরই ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কখনও সাংসদ কনভয় দেখে বিক্ষোভ কখনও সরাসরি দলের সাংসদকে চোর বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। এমনকী বিধায়ক রহিমা মণ্ডলকে আর ভোট না দেওয়ার কথাও শোনা গেল কারও কারও মুখে। এখানেই শেষ নয়, সাংসদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কদম্বগাছির প্রধান সহ ২৩ জন তৃণমূলের সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এক তৃণমূল কর্মীার দাবি, এখানে ২২টা মেম্বার, পঞ্চায়েতে বসে আছে। আর উনি ISF-দের নিয়ে, ISF যারা করেছে, তাদের নিয়ে মিটিংটা করেছে। অপর একজন তৃণমূল কর্মীর মুখে শোনা যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এক নম্বর চোর, এক নম্বর চোর। চোর, চোর, চোর।


প্রসঙ্গত, খয়রাশোলের পর মহম্মদবাজারে গিয়েও অসন্তোষের মুখে পড়েন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের অসন্তোষের মুখে তৃণমূল সাংসদ। 'জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট পেশ হয়েছে', তার পরেও কেন কাজ হয়নি, খোঁজ নেব, বললেন শতাব্দী। 


আরও পড়ুন- অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যু শিশুদের, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের