কলকাতা : সাগরদিঘির পাল্টা এবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বায়রন-মডেল ! 'অন্য প্রতীকে জিতলে, বায়রনের (Bayron Biswas) অনুভূতি সংক্রমিত হবে।' পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগেই দলবদল নিয়ে দাওয়াই কুণাল ঘোষের। 'অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পর তৃণমূলে আসবে। তাহলে অহেতুক কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন ?' পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা।
বামদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্বাস ভেঙেছেন বাযরন বিশ্বাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
এই দলবদলের নেপথ্যে কী কারণ ? ভয় না কি আর্থিক প্রলোভন ? নিরাপত্তার অভাব ? প্রশাসনের সান্নিধ্য ? নাকি, প্রকৃত অর্থেই সাগরদিঘির মানুষের উন্নয়ন ? তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সপ্তাহ ২ পরে সাগরদিঘির বিধায়ক বুঝিয়ে দেন, প্রশাসনিক সুবিধে পেতেই দলবদল ! প্রশাসনিক সাপোর্ট না পেলে মানুষের কাজ করবেন কী করে !
তৃণমূল নেতা ও সাগরদিঘির বিধায়ক বললেন, "কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। অভিষেকদা বলেছেন, সেই সুযোগ পাইয়ে দেবেন। কাজ করার অনুমতি খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়। প্রশাসনিক সাপোর্ট ভাল পাওয়া যায়।" এই আবহেই কুণাল ঘোষের মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তিনি বলেন, "এই যে এত মারামারি করছে, এরা তো অর্ধেক জায়গায় প্রার্থী খুঁজে পাবে না। যদি কোনও প্রার্থী জেতেন, তিনি এই সিস্টেমটার মধ্যে আরও ভাল করে কাজ করার জন্য তিনি বুঝতে পারবেন, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করছে। আর মুখ্যমন্ত্রী কী করে সব স্কিম চালু রেখেছেন। ফলে, এরা যদি পরিশ্রম করে এত লম্ফজম্ফ করে কোনও প্রার্থীকে জেতায়ও, তিনি তো মনের টানে তারপর তৃণমূলে যোগ দেবেন। ফলে, এইসব চিৎকার করে লাভ কী আছে ! যদি দু'-চার জন অন্য প্রতীকে জেতেন, তাঁরা তো এটা অনুভব করবেন যে, বায়রনের অনুভূতি তো সংক্রমিত হবে। ফলে অহেতুক কেন ? আর মানুষই বা কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন। তৃণমূলে দিলে সরাসরি তৃণমূল জিতবে। অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পর তৃণমূলে আসবেন। ফলে অন্য চিহ্নে দিয়ে কী লাভ ! "
আরও পড়ুন ; "শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়, প্রশাসনিক সাপোর্ট পাওয়া যায়", বলছেন বায়রন