নয়াদিল্লি: কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদভবন। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ঢেলে সাজানো হয়েছে দিল্লিকে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না কর্মসূচির আগে এবার সেই নিয়ে সুর চড়াল তৃণমূল (TMC)। দিল্লির বুকেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে বলে জানালেন দলীয় নেতৃত্ব। রবিবার দিল্লিতে রণকৌশল বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠক শেষে জানালেন দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
বকেয়ার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি তৃণমূলের। তার আগে কার্যতই কলকাতা হয়ে উঠল রাজধানী। এক এক করে সেখানে ভিড় করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সাংসদরা। ধর্না কর্মসূচির আগে রণকৌশল বৈঠক হল সেখানে, যাতে নেতৃত্ব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল। সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জানান বাংলা থেকে আসা বঞ্চিতদের কেন্দ্রের ঢালাও খরচের নিদর্শন ঘুরিয়ে দেখাবেন তাঁরা।
এদিন কুণাল বলেন, "পরিশ্রম করেও টাকা পাননি গরিব মানুষেরা। গ্রামের মানুষজন কত কষ্ট করে আসছেন। ট্রেন ছিল, বাতিল করল। বাসে করে আসতে হচ্ছে। তাঁদের ১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বঞ্চিতদের সেন্ট্রাল ভিস্তা, নতুন সংসদভবন ঘুরিয়ে দেখানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর শখপূরণে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।"
কুণাল আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর শখপূরণে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেন্ট্রাল ভিস্তা হয়েছে, বিলাসের ব্যবস্থা হয়েছে। সকলকে ঘুরিয়ে দেখানো হবে বাংলার মানুশষের পরিশ্রমের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই বিলাসবহুল সব ভবন তৈরি হচ্ছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হবে, পুরনো, নতুন সংসদভবন। তাতে কিছু নতুন নেই। কয়েক কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হয়েছে। আথচ দরিদ্র মানুষের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।"
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার রাজঘাটে দুপুর দেড়টা নাগাদ ধর্না কর্মসূচি করবে তৃণমূল। মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলবে সত্যাগ্রহ। তার পর তাঁর বাড়িতে আবারও বৈঠক রয়েছে। সেখানে মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে অবস্থান কর্মসূচি, ডেপুটেশন দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলবে। দিল্লি পুলিশ যেহেতু অনুমতি দেয়নি, তাই কোন কৌশলে এগনো হবে, ঠিক হবে। পুলিশের আচরণ নেতিবাচক হলে, সেই মতো পদক্ষেপ গৃহীত হবে। এদিনের বৈঠকে আরও যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা হল, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের যন্তরমন্তরে নিয়ে আসার পাশাপাশি ছাত্রযুবদের মাধ্যমে একাধিক সমস্যা তুলে ধরা হবে। নতুন সংসদভবন তৈরিতে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করলেও ১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন, প্রশ্ন তোলা হবে সেখানে।